হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪০০

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইতিহাসের ভয়ানক হামলার শিকার হয়েছে ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলিরা। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছুড়ে ইসরায়েলের শক্তিশালী আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নাজেহাল করে দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলার পরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় প্রাণ হারাচ্ছে বহু সাধারণ মানুষ।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামলায় আরও প্রায় ৫ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান হতাহতের কারণে গাজাজুড়ে হাসপাতালগুলোতে লাশ রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।
অপরদিকে সবশেষ ইসরায়েলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহতের খবর পাওয়া হেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
মূলত আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, মুসল্লিদের মারধর, বয়স্ক ও যুবকদের মসজিদ থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার দৃশ্য হামাসের ক্ষোভ আরও উস্কে দিয়েছে।
হামাসের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে ইসরায়েলের নৃশংস অভিযানের পর থেকেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল হামাস। এই হামলার ফলস্বরূপ ইসরায়েলের ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার আহত হলো।
এদিকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে মর্গে পরিণত হতে পারে এসব হাসপাতাল। এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। বুধবার জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
সেখানকার হাসপাতালসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেটাও স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ এভাবে হয়তো চালানো যাবে আর অল্প কিছু সময়। এরপর কী হবে সেটা জানে না গাজার সাধারণ মানুষ। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সবকিছু।