পিবিআই এসপি রেশমা শারমিন পরিচয়ে আ.লীগ নেতার কাছে চাঁদা দাবি,স্বামী-স্ত্রী আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের এসপি রেশমা শারমিন পরিচয়ে শার্শার একজন আওয়ামী লীগ নেতার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে নারীসহ দুই প্রতারক আটক হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মাদারীপুরের মৈশর চর এলাকা থেকে তাদের আটক করেন পিবিআই’র ইনসপেক্টর মো. আজিজুল হক।
আটকরা হলেন, মাদারীপুরের মৈশর চর এলাকার এজাজুল হকের মেয়ে খাদিজা (৩৮) ও তার স্বামী সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আহসান হাবিব (৩৫)।
পিবিআই’র ইনসপেক্টর মো. আজিজুল হক জানান, শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের কাছে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ০১৩১৪-৫৪৭৪৬৬ নম্বর থেকে মোবাইল ফোন করেন এক নারী। এ সময় তিনি তাকে বলেন,‘আমি পিবিআই যশোর জেলার এসপি রেশমা শারমিন বলছি। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। যশোর জেলার শার্শার কায়বা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন যা করছে এটা কি ঠিক করছে ? তার চাইতে টিংকু চেয়ারম্যান ভালো ছিলো না ? আগামীতে আপনাকে চেয়ারম্যানের নমিনেশন পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিব। আপনার প্রতিপক্ষের কিছু লোকের নাম দিন।’ তখন শরিফুল ইসলাম তাকে কিছু লোকের নাম দেন।
এরপর এসপি পরিচয়দানকারী ওই নারী শরিফুল ইসলামকে বলেন,‘আমার সাব-ইনসপেক্টর রবিউল ইসলামের সাথে কথা বলেন’। এই বলে অপরপ্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনটি এক পুরুষ ব্যক্তির কাছে দেওয়া হয়। এ সময় অপরপ্রান্ত থেকে ওই পুরুষ ব্যক্তি নিজেকে এসআই রবিউল ইসলাম পরিচয়ে শরিফুল ইসলামকে বলেন, এসপি স্যার এই বিষয়ে ঢাকায় যাবে। তাই ২ লাখ টাকা দিতে হবে। ফলে সন্দেহ হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম এ বিষয়ে পিবিআই কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে অবস্থান শণাক্তের পর গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে মাদারীপুরের মৈশর চর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে পিবিআই’র এসপি পরিচয়দানকারী খাদিজা নামে এক নারীকে নিজ পিতার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। ওই বাড়ি থেকে তার সহযোগী এসআই রবিউল ইসলাম পরিচয়দানকারী আহসান হাবিবকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পিবিআই কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, আটক প্রতারকদ্বয় মাদারীপুরের হায়দার কাজী জুট মিলে চাকরি করেন। এর আড়ালে তারা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। তিনি আরও জানান, আটক আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার কলারোয়া ও ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় মানবপাচার, নারী ও শিশু নির্যাতন ও মাদকের মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি।