যশোর জেনারেল হাসপাতালে বিছানার চাদর পরিস্কারে গলদ

0

 

মাসুদ রানা বাবু॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের ব্যবহৃত বিছানা চাদর যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। পরিস্কার করে সরবরাহের পর চাদরে লেগে থাকছে বিভিন্ন ও রক্তের দাগ, এমন অভিযোগ হাসপাতালের কর্তব্যরত বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেবিকাদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দরপত্রের মাধ্যমে যশোর-২৫০ শয্যা হাসাপাতালের ব্যবহৃত বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন কাপড় ধোলাইয়ের দায়িত্ব পায় খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদার বাজারের মেসার্স তাকবির এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠান। গত ১৬ আগস্ট থেকে তাদের কার্যাদেশ শুরু হয়। কার্যাদেশে বলা হয়, ওয়ার্ড থেকে চাহিদা মোতাবেক ময়লা কাপড় সংগ্রহ করে সেটি ধৌত করার পর আয়রন (ইস্ত্রি) করে ওয়ার্ডগুলোয় পৌঁছে দিতে হবে। দরপত্রে বলা হয়, বিগত ৫ বছরের মধ্যে যে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যে কোনো স্থানে ওই প্রতিষ্ঠানের চলমান লন্ড্রির ব্যবসা থাকতে হবে। প্রতিটি চাদর পরিষ্কার করার জন্য ৩২ টাকা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
হাসাপাতালের কর্তব্যরত একাধিক সেবিকা জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দরপত্র অনুযায়ী কাজ করে না। ওয়ার্ড থেকে ময়লা কাপড় সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার পর তারা শতভাগ পরিষ্কা পরিচ্ছন্ন না করে পুনরায় সরবরাহ করে। সরবরাহকৃত কাপড়ে রোগীর শরীর থেকে নির্গত রক্ত,বমি ছাপসহ বিভিন্ন দাগ লেগে থাকে। কোনরকম নামমাত্র ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধৌত করে রৌদ্রে শুকিয়ে সেটি সরবরাহ করা হয়। কাপড় আয়রন (ইস্ত্রি) করার কথা থাকলেও সেটি তারা করে না। সরবরাহকৃত কাপড় থেকে নোংরা দুর্গন্ধ ছড়ায় বলে জানান তারা। বিষয়টি সেবিকারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
এ বিষয় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন,যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করে সেই কাপড় পুনরায় রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হলে স্বাস্থ্য ঝুঁিক থাকতে পারে। সে কারণে শতভাগ জীবানুমুক্ত করে রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা ভালো।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন,বিষয়টি আমি অবগত। নতুন একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজে নিয়োগ পেয়েছে। তারা ঠিকমতো কাজ বুঝে উঠতে পারেনি। আমি বিষয়টি জানা মাত্রই ওই প্রতিষ্ঠানকে সর্তক করে দিয়েছি। অন্যথায় তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এ বিষয়টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইকতিয়ার উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।