বাল্যবিয়ে : শরণখোলায় কনের মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

0

শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলছিল ১০ম শ্রেণির ছাত্রী রাইসা আক্তারের বিয়ের প্রস্তুতি। কাজী, বর ও তার আত্মীয়-স্বজনরাও উপস্থিত মেয়ের বাড়িতে। অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করেই চলতে থাকে সকল আয়োজন। কিন্তু এরই মধ্যে বাল্যবিবাহের খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে। বিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির হন ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম। ইউএনও’র উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান বরসহ সবাই। শেষে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে কিশোরীর মা মজিদা বেগমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে প- করে দেওয়া হয়। উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর ভোলারপাড় গ্রামের মৃত নূর ইসলাম হাওলাদারের ছেলে কাওসার হাওলাদারের (২৫) সাথে বিয়ে ঠিক হয় দক্ষিণ বাধাল গ্রামের স্কুলছাত্রী রাইসা আক্তারের।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাল্যবিবাহের এমন আয়োজন চলছিল শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাধাল গ্রামে। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরী রাইসা আক্তার ওই গ্রামের সোবাহন হাওলাদারের মেয়ে। সে স্থানীয় ডিএন কারিগরি কলেজের স্কুল শাখার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিই। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মেয়ের মাকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।