কপিলমুনিতে শখের ছাদ বাগান করে লাভবান বৃক্ষপ্রেমী নারী কালী দত্ত

0

এইচ.এম.শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা ) ॥ কপিলমুনির বৃক্ষপ্রেমী নারী কালী দত্তের (৬২) শখ নতুন নতুন ফুল ও ফলের গাছ সন্ধান করা এবং তা লাগানো। কপিলমুনির ঐতিহ্যবাহী সিংহ বাড়ির মেয়ে  ও দত্তবাড়ির মৃত বিশ্বজিৎ-এর স্ত্রী তিনি। তার শখের তালিকা থেকে এখন পেশায় পরিণত হয়েছে ছাদ বাগান সবজি গাছ, ফুল ও ফলের চারা লাগানো। সে ক্ষেত্রে তিনি বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি উভয় বাড়িতে গাছ গাছালী বৃক্ষরাজি আজও লাগিয়ে চলেছেন। তিনি নিজ ছাদে সবজি ফুল ফল ঔষধি গাছসহ পুকুরে জলাশয়ে বাস করা শাপলা,পদ্ম ফুলও রয়েছে কালী দত্তের ছাদবাগানে। ছাদে লাগানোর মত এমন কোনো ফুলফল সবজি ঔষাধি গাছ নেই যে তিনি তা না লাগিয়েছেন।
কালী দত্তকে দেখে আশপাশের বাসিন্দারা অনেকে ছাদে এবং বাড়িতে এখন বাগান তৈরি করছেন। বৃহৎ এ ছাদ বাগান পরিদর্শনে গেলে কালী দত্ত কাউকে খালি হাতে ফেরৎ দেন না, কোনো না কোনো ফুল ও ফল গাছের চারা ফল দানা উপহার দিয়ে থাকেন নিয়মিত তিনি। কালী দত্তের ছাদ বাগানের বিষয়ে তার পাশে বাস করা পুস্তক বিক্রেতা হিমাদ্রী শেখর দে বলেন, আমি শৈশব থেকেই দেখে আসছি আমাদের কালী কাকিমা নিয়মিত অচেনা চেনা গাছ ফুল ফল বাগান করে আসছেন। কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার বলেন পুদ্দারপাড়া রাস্তায় ঢুকতেই মন ভাল হয়ে যায় কালী দত্তের ছাদ বাগান দেখে।
পাইকগাছা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন আমি অনেক ছাদ বাগান দেখেছি,কিন্তু একজন মহিলা হয়ে তিনি কিভাবে এতবড় বাগান করেছেন তা না দেখলে তো বিশ্বাসই হবে না। প্রাতঃভ্রমণকারী কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জিএম হেদায়েত আলী টুকু বলেন, প্রতিদিন ভোরবেলায় মনোরম ছাদ বাগানের দৃশ্যে দেখে পথিকদের চোখ জুড়ে যায়,তাজা ফুল ফল গাছ দেখে।
উল্লেখ্য শ্বেত পদ্ম,কাবাডি,গন্ধরাজ,জুঁই,ড্রাগণ,ছাতিয়ান,দোলনচাঁপা,দোপাটি,কুল,কুমড়া,আমড়া,কচু,বকফুল,ঘি কাঞ্চন,রজনীগন্ধা,বেলী,সহ দেশি বিদেশি নাম না জানা শ শ সব গাছগু একটি মেলার সৃষ্টি করেছে কালী দত্তের বাগানে। ছাদবাগানের মালিক কালী দত্ত আরও জানান যে প্রচন্ড গরমে ছাদ বাগানটা ঘরগুলো ঠান্ডা রাখে। পরিবেশ সুরক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।