আজ থেকে অচল হওয়ার আশংকা যশোরাঞ্চলের পেট্রোল পাম্পগুলো

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের প্রথম দিন যশোরে কোনো প্রভাব না পড়লেও আজ সোমবার থেকে বিক্রি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। রোববার ধর্মঘটের প্রথম দিন যশোরের তেলের প্রয়োজনীয় মজুদ থাকায় জেলার অধিকাংশ এলাকার পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা ডিপো থেকে কোন জ¦ালানি তেল যশোরে আসেনি। পাম্পের দায়িত্বশীলরা গতকাল জানান, সোমবার খুলনার ডিপো থেকে তেলের সরবরাহ না হলে সংকট দেখা দেবে।
৩ দফা দাবিতে পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট গতকাল রোববার থেকে শুরু হয়েছে। তবে এদিন যশোর শহরের অধিকাংশ পাম্পে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব পাম্প মালিকরা বলেছেন, তাদের কাছে যে পরিমাণ তেল মজুদ আছে তা সন্ধ্যার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকার চলন্তিকা পেট্রোল পাম্পের বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, তাদের পাম্পে যে তেলের মজুদ আছে তা রোববার রাত পর্যন্ত চলতে পারে। খুলনার ডিপোতে গাড়ি নিয়ে সেখানে অপেক্ষায় থাকলেও সেখান থেকে কোনো তেল উত্তোলন করতে পারছেনা বলে খবর দিয়েছে। ফলে আগামীকাল (সোমবার) থেকে তেল বেচাকেনা চলবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
একই কথা বলেন, মনির উদ্দীন পাম্পের বিক্রয় বিক্রয় প্রতিনিধি। তিনি বলেন, ধর্মঘটের খবরে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা বেশি আসছে। যে কারণে তেল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওই পাম্পে কী পরিমাণ তেল আছে সেটি নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও নতুন করে তেল উত্তোলন করতে না পারলে পাম্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
এদিকে ধর্মঘটের নামে জনভোগান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ। আর গাড়ি চালকরা দাবি করেছেন এ অবস্থা চলতে থাকলে কাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মশিউর রহমান নামে একজন ট্রাকচালক বলেন, যশোর থেকে পণ্য নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে পাম্প বন্ধ থাকায় যাবো কিনা সে বিষয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান না হলে পরিবহন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে জ¦ালানি তেল পরিবেশক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল জানান, জ¦ালানি তেল ব্যবসার সাথে জড়িত সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে তেল বিক্রিতে কমিশন ৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ, তেল ব্যবসায়ীদের পরিচয় সুনির্দিষ্টকরণ, ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়নে ৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকার এসব দাবি বাস্তবায়নের আশ^াস দিলেও কিন্তু তা কার্যকর করেনি। দাবি আদায়ের জন্যে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আল্টিমেটামও দেয়া হয়েছিল। দাবি বাস্তবায়নে কার্যকরি আশ^াস পেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান তিনি।