কাজী শাহেদ আহমেদের জীবনাবসান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক , জেমকন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহেদ আহমেদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।  সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মেজো ছেলে বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ এ তথ্য জানান।
দেশের বিশিষ্ট এই শিল্প উদ্যোক্তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও শোকা প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
কাজী শাহেদ আহমেদের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বড় ছেলে কাজী নাবিল আহমেদ যশোর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি। মেজো ছেলে কাজী আনিস আহমেদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক। কাজী শাহেদ আহমেদের ছোট ছেলে ইনাম আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক।
তিনি যশোর সদর আসনে চশমা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।
কাজী শাহেদ আহমেদ ১৯৪০ সালের ৭ নভেম্বর যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের দেয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর তিনি ১৪ বছর সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাকালীন প্লাটুন কমান্ডারদের একজন তিনি।
১৯৭৯ সালে ‘জেমকন গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবন শুরু। তিনি ছিলেন ‘খবরের কাগজ’ ও ‘আজকের কাগজ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক।
যশোর সদর উপজেলার কৃতী সন্তান সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কাজী শাহেদ আহমেদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ।
এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের পিতা কাজী শাহেদ আহমেদ আমার পিতৃতুল্য মুরব্বী ছিলেন। আমার প্রয়াত পিতা সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের সাথে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর নির্বাচনের পর দিন সকালে আমাদের বাড়িতে এসে পিতাকে অভিনন্দন জানিয়ে যে মহত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন তা আমার সারাজীবনে রাজনৈতিক শিক্ষা হয়ে থাকবে। আমার পরিবার  এরকম কর্মকান্ডের কারণে কাজী শাহেদ আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার মৃত্যুতে আমি শোকাভিভূত। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। শোকাহত স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণের ক্ষমতা দেন।
অনুরূপ শোক প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন ও সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
আলাদা বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।