চৌগাছায় অস্বাভাবিক দামে শিশুখাদ্য বিক্রি : স্বল্পআয়ের মানুষ বিপাকে

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় শিশুখাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্পআয়ের মানুষ। একজন অভিভাবক সন্তানের জন্য দুই মাস আগেও যে টাকায় দুধ কিনে মাস পার করেছেন এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। অবিলম্বে বাজার তদারকি করার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক মহল।
গত দুই মাসের ব্যবধানে ওজন ও প্রকার ভেদে প্রতিটি শিশু খাদ্যে ৩০ টাকা হতে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগী অভিভাবক। অভিভাবকরা জানান, প্রিয় সন্তানের জন্য দুই মাস আগে ২ হাজার টাকার দুধ কিনলে মাস শেষ করতে পেরেছেন। কিন্তু সেখানে বর্তমানে ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।
রোববার চৌগাছা বাজারে বেশ কিছু দোকান ঘুরে দেখা গেছে, শিশুখাদ্যের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই, অথচ প্রতিটি ব্র্যান্ডের দাম হু হু করে বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা যখন যে দামে কেনেন সেই অনুযায়ী বিক্রি করেন। প্রতিটি খাদ্যের দাম বাড়িয়ে প্যাকেট বা কৌটার গায়ে লেখা আছে, সেটি দেখে আমরা বিক্রি করছি। ৩০ টাকা হতে ২শ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দেখা গেছে ১৮০ গ্রাম ওজনের একটি ল্যাকটোজেন দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ হতে ৩৪০ টাকা, অথচ দুই মাস আগেও তা বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়। অনুরুপ ভাবে ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি নান আগে বিক্রি হয়েছে ১০৫০ টাকায় বর্তমানে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫০ টাকায়, ল্যাকটোজেন ৪০০ গ্রামের একটি দুধ আগের দাম ছিল ৭শ টাকা, বেড়ে এখন তা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ টাকায়। বেবি কেয়ার ৬৮০ এখন তা ৭৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। নিডো ৩৫০ গ্রাম ওজনের একটি প্যাকেট আগে বিক্রি হয়েছে ৪২০ টাকা, এখন দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকায়। শিশুখাদ্য প্রাইমা, বায়োমিল, সেরেলাক্্র, হরলিক্্রসহ সব ধরনের দুধের দাম হু হু করে বেড়েছে।
ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম, সাকিল আহমেদ, নারায়ণ চন্দ্র বলেন, গত দুই মাস ধরে ধাপে ধাপে শিশুখাদ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমরা যখন যে দামে কিনতে পারছি, তখন সে ধরনের লাভে বিক্রি করছি। দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও অনেকাংশে কমে গেছে বলে তারা জানান।
শিশুর দুধ কিনতে আসা মা সুলতানা নাহার বলেন,‘হঠাৎ করেই বাচ্চাদের দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। স্বল্প বেতনের চাকরি করি, যে বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়, এখন আবার দুধের দাম বেড়ে গেছে। বাড়তি ব্যয় মেটানো আমাদের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।’ ভুক্তভোগীরা এই পরিস্থিতিতে বাজার মনিটরিং করে অন্তত শিশুখাদ্যের দাম নাগালের মধ্যে রাখার জোর দাবি জানিয়েছেন।