ডেঙ্গুতে বাড়ছে মৃত্যু, স্কুলের ছুটি বাতিলে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ডেঙ্গুতে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে এ বছরের সর্বোচ্চ। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৯২ জন। অপরদিকে গতকাল বুধবার  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে অনেকটাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) থেকে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিলো। যা চলবে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত। দেশজুড়ে ডেঙ্গু বিস্তারের এই সময়ে এই ১২ দিনের ছুটি অনেকটা আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করছিলেন অভিভাবকেরা। অনেকেই আবার ছুটি কাটাতে নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও রেখেছিলেন। কিন্তু আজ বুধবার সন্ধ্যায় অনেকটা আকস্মিকভাবেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এই ছুটি বাতিলের ঘোষণা দেন।
ভিকারুননেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সুজন দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছি। গত কয়েক দিন ধরে আমার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাই না। এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল হওয়ায় আরও টেনশন বেড়ে গেল।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠদান ও মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে বিদ্যালয়গুলো সকল বার্ষিক পরীক্ষা। তাই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এ ছুটি আগামী শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৯ জন মারা গেছেন। যা একদিনে এ বছরের সর্বোচ্চ। একই সময়ে আরও ১ হাজার ৭৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট ১৪৬ জন মারা গেলেন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ৯২২ জন। বাকি ৮৭০ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা যাওয়া ১৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৭ জন ও ঢাকার বাইরের ২ জন।
রাজধানীর মিরপুর-১৩ এলাকার একজন অভিভাব সেলিনা রহমান জানান, ডেঙ্গু যেভাবে বেড়ে চলেছে। বাচ্চাকে স্কুলে দিতেই ভয় পাচ্ছি। এই সংকেটের মধ্যে ছুটি থাকলে বাচ্চারা বাসায় থাকতে পারত। এখন আসলেই টেনশন বেড়ে গেল।