খুলনায় আগামীকাল বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন বন্ধের চেষ্টার অভিযোগ

0

খুলনা ব্যুরো ॥ বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন বন্ধের জন্য প্রশাসনের কতিপয় লোকজন চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা এসব অভিযোগ করেন। তারা বলেন, অতি উৎসাহী কতিপয় ব্যক্তি রাষ্ট্রের কর্মচারী হয়েও বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। তারুণ্যের জোয়ারে তারা পরাস্ত হবে।
সোমবার খুলনা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এটি বিএনপির পঞ্চম সমাবেশ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বিভাগীয় এ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সরকার দেশের ৪ কোটি ৭০ হাজার নতুন ভোটারের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে দলীয়করণ ও ভেরিফিকেশনের নামে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মানুষ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার তরুণ সমাজের পক্ষে মাঠে নেমেছি। তরুণ সমাজকে আহ্বান জানিয়েছি আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব।
সমাবেশের অনুমতি মিলেছে জানিয়ে টুকু আরও বলেন, কিন্তু নানা কায়দায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তরুণরা অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছে। কোনও বাধাই তাদের প্রতিহত করতে পারবে না। তারা বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।