জেলা প্রশাসনের সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি ; যশোর-নড়াইল সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে যাত্রার ৩ন্যে ২৬ জুনের মধ্যে যশোর নড়াইল-সড়কের পাশে খুঁড়ে রাখা গর্তগুলো ভরাট করার সিদ্ধান্ত হয় যশোর জেলা প্রশাসনের এক সভায়। গত ২০ জুন অনুষ্ঠিত ওই সভায় এই সিদ্ধান্ত ছাড়াও শহরের পুরনো বাসটার্মিনাল এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়।
তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখন গৃহিত সিদ্ধান্তগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এ পরিস্থিতিতে নড়াইল-যশোর সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই ফিরছেন ঈদে ঘরফেরা মানুষ। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবহন শ্রমিক সংস্থার নেতারা।
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু সোমবার (২৬ জুন) রাতে লোকসমাজকে জানান, গত ২০ জুন মঙ্গলবার যশোর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে যশোর যাত্রী ও পণ্য কমিটি ও যশোর সড়ক নিরাপত্তা কমিটির এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার পাশের খুঁড়ে রাখা গর্তসমূহ ঈদের আগে ২৬ জুনের মধ্যে ভরাট করার জন্যে সড়ক ও জনপথ যশোর কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়। একই সাথে যশোর পুরনো বাসটার্মিনাল এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে ওই এলাকার রাস্তার ওপর সৃষ্ট গর্তগুলো ম্যাকাডম দিয়ে ভরাট করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় উপস্থিত সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমানও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও যশোর নড়াইল-সড়কের পাশের গর্তগুলো এখনো পুরোপুরি ভরাট করা হয়নি। যে কারণে ঝুঁকি নিয়েই ওই সড়ক দিয়ে শ শ যানবাহন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে বলে তিনি জানান।
শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা মিঠু আরও বলেন, পুরনো বাসটার্মিনাল মণিহার সিনেমাল হল এলাকা এখন জনদুর্ভোগের বড় স্পটে পরিণত হয়েছে। সড়কের ওপর বড় বড় সৃষ্ট গর্তে পানি জমে গেছে। বর্ষার পানি আর কাদামাটি একাকার হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাস্তার ওপর যত্রতত্র গাড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। যে কারণে সোমবার দিনের অধিকাংশ সময় সেখানে দীর্ঘ যানজট বেধে জনভোগান্তি চরমে ওঠে। অথচ গত মঙ্গলবারের সভায় জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এই অঞ্চলকে যানজটমুক্ত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, গত সভায় সিদ্ধান্তের পরপরই যশোর-নড়াইল সড়কের পাশের গর্তগুলো ভরাট কাজ শুরু করা হয়। যেটি এখনও চলমান। একই সাথে শহরের মণিহার এলাকার রাস্তার ওপর সৃষ্ট গর্তগুলো ভরাট করার জন্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। দিনের বেলায় সড়ক দিয়ে গাড়ির চাপ থাকায় সড়কে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের ইনস্পেক্টর (যশোর সদর) মাফুজুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার্তে যশোর জেলা প্রশাসনের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সর্বত্র তৎপর রয়েছি। এজন্যে সোমবার শহরের পুরনো বাসটার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সড়ক ও মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা প্রত্যেক বাস কাউন্টারে গিয়ে এ বিষয়ে সচেতন করে এসেছি। মঙ্গলবার থেকে ঈদ পরবর্তী সময় পর্যন্ত এ বিষয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। খুব দ্রুত সময়ে এ বিষয়ে কার্যকর ফলাফল দেখা যাবে বলেও তিনি জানান।