চৌগাছায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন

0

এম এ রহিম, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছা উপজেলায় শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেবামূলক কর্মকা- চিকিৎসা এবং কলকারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে কোথায় কতক্ষণ কীভাবে লোডশেডিং দেওয়া যাবে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় রুটিন প্রস্তুত করে তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এ জোনাল অফিস চৌগাছায় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও বিভিন্ন উপকেন্দ্রগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন। তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছেন। উপজেলা থেকে কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোডশেডিং দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা তা মানতে রাজি নন। সারাদিন ১২-১৩ বার লোডশেডিং তো আছেই; তার ওপর বিরক্তিকর ভেলকিবাজি। সবচেয়ে বিরক্তিকর গভীর রাতে এলাকাবাসী যখন ঘুমাতে যান ঠিক সে সময়ে শুরু হয় লোডশেডিং।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় গভীর রাতে লোডশেডিং শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। একদিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বেড়েছে চুরি। প্রতিদিন ছোট-বড় কোনও না কোনও চুরির ঘটনা ঘটছে। সারারাত ঘুমাতে না পেরে এলাকাবাসী সড়কের ওপর আর ব্রিজ কালভার্টের ওপর বসে গল্প গুজব করেই রাত কাটাচ্ছেন। রাত্রিকালীন তীব্র লোডশেডিং দেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সকালে নির্ঘুম রজনীর হতাশা প্রকাশ করে। তাছাড়া এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
উপজেলা সদরসহ গ্রাম এলাকায় রাত-দিন সমান তালের লোডশেডিং পরিবর্তন চায় এলাকাবাসী। সারাদিন ক্রমাগত বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদেরকে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে যারা সংবাদ প্রেরণের কাজ করেন তাদের অবস্থা হয় আরও শোচনীয়।
চৌগাছা উপজেলার একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে ঘাপটি মেরে যেসব কর্মকর্তাগণ বসে আছে তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে চলেছেন। যেমন নামাজের সময়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করার সময় এবং সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে যখন মানুষ ঘুমাতে যায় তখন লোডশেডিং দিয়ে থাকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার অবৈধ সংযোগগুলো বের করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলে এই এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটা হ্রাস পাবে। অনেকে আবার এ সমস্যার জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ভ্যানকে দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে যশোর পল্লি বিদ্যুৎ চৌগাছা জোনাল অফিসের এজিএমকম এর কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিদিন আপগ্রেড তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে তথ্য দিতে আমাদের নিষেধ করা আছে।