ঘুমন্ত নারীদের ভিডিও ধারণ প্রেমিকাসহ যুবক গ্রেফতার

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ জান্নাতি খাতুন নামে এক যুবতীর কিছু ব্যক্তিগত ভিডিও করে বিকৃত রুচির মানুষ জুলকার খাঁ। ওই ভিডিও দেখিয়ে জান্নাতির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে লম্পট জুলকার। দুজন মিলে এক ভয়ংকর মিশন নিয়ে মাঠে নামে। তিন মাস ধরে রাতে ঘুমিয়ে থাকা গ্রামের অর্ধশত নারীর ব্যক্তিগত ভিডিও করে তারা। উদ্দেশ্য এই ব্যক্তিগত ভিডিও দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও টাকা হাতিয়ে নেওয়া। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সাপখোলা গ্রামের।
রাতের আধাঁরে ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন-অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করার বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হলে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে আসে। তৎপর হয় পুলিশ। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে এই চক্রকে। অবশেষে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। পুলিশ প্রেমিকা জান্নাতিসহ জুলকার খাঁকে গ্রেফতার করে শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রাম থেকে। জুলকার খাঁ সাপখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁ’র ছেলে। অপরদিকে তার প্রেমিকা জান্নাতি খাতুন শামছুল বিশ্বাসের মেয়ে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, শৈলকুপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌসের বাড়ির জানালা দিয়ে কে বা কারা তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও কন্যার ভিডিও করছিল। এ সময় মোবাইল ফোনের ফ্লাস লাইটের আলো জ্বলে উঠলে ফেরদৌস ঘরের ভেতর অজ্ঞাত যুবকের হাত চেপে ধরে। তখন মোবাইল ফোন ফেলে সে পালিয়ে যায়। ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোনের মধ্যে সাপখোলা গ্রামের অর্ধশত নারীর নগ্ন-অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি পাওয়া যায়। গত ৪ মে ফেরদৌস শৈলকুপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। পুলিশেল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিকৃত রুচির এই দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় বলে পুলিশ সুপার জানান।