দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সে. রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

0

 

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা ॥ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এর আগে গত চার দিন ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই করছিল।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার জেলায় (১৩ এপ্রিল) বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা ৩টায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রবিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ইনচার্জ জামিনুর রহমান আরও বলেন, প্রতিদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হচ্ছে। গত ১১ দিন ধরে জেলায় সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দু তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও কৃষকেরা। তীব্র রোদে মাঠে টিকতে পারছে না কৃষক ও দিনমজুর। রাস্তায় ভাড়া পাচ্ছে না রিক্সা-ভ্যান চালকরা। প্রতিদিন সেচ দিতে হচ্ছে বোরো ধান ও সবজি ক্ষেতে। কৃষক আরিফুল বলেন, ধানে সেচ দিয়ে আর পারছি না। দাম বেশি ডিজেলের। কিনতে গিয়ে আর পেরে উঠছি না। আল্লাহ একটু পানি দিলে বাঁচতাম। ভ্যান চালক ছাদেক আলী বলেন, রোদে সব পুড়ে যাচ্ছে। দুপুর বেলা মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে। রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, খুব সহসায় বৃষ্টি হবে না এ জেলায়। সকালে সুর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। বেলা যত বাড়ছে রোদের তীব্রতা তত আগুনের ফুলকির মত ঝরছে। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুন ঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা বিরাজ করছে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।