বিচারের নামে অবিচার করলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা : প্রধান বিচারপতি

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো এই দেশের জনগণ যাতে স্বল্প সময় ও স্বল্প খরচে ন্যায় বিচার লাভ করেন। এই রাষ্ট্রের মালিক ১৭ কোটি মানুষ। এই ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি মানুষ নিত্যদিন আদালত চত্বরে আসেন ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায়। যেহেতু এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ, সেহেতু মানুষ যাতে আদালতে এসে যাতে বুঝতে পারেন এই জায়গাটি তাদের। সেইজন্যে প্রায় প্রতিটি জেলায় বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহ আদালত প্রাঙ্গনে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আদালতগুলোতে যে মামলা জট সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত ছাড়াতে বিচারকগণকে বলা হয়েছে। যাতে মানুষ ন্যায় বিচার পান। এদিকে ঝিনাইদহ আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারের নামে কোন বিচারক যদি অবিচার করেন, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিচার বিভাগের কেউ দুর্নীতি করলে তাকে রাখা হবে না। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি একটা ক্যান্সার। আমার হাতে পাঁচটা আঙ্গুল আছে। যদি একটি আঙ্গুলে ক্যান্সার হয় তাহলে বড় চিকিৎসা হচ্ছে সেটা কেটে ফেলা। তাই যে জজ বিচার বিক্রি করবে, সেই জজের আঙ্গুল কেটে ফেলতে আমি একটুও দ্বিধাবোধ করবো না। একজন জজ যদি বিচারের মাধ্যমে একজনের সম্পদ অন্যজনকে দিয়ে দেন, তাহলে তিনি ডাকাতের চেয়েও খারাপ। তিনি বলেন, এমন অন্যায়ের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। যদি কোন জজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পান, জানালে সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার তোফায়েল হাসান, জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা জজ নাজিমুদৌলা, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকিদুল ইসলাম, সরকারি কৌসুলী বিকাশ কুমার ঘোষ ও পিপি ইসমাইল হোসেনসহ বিচারাঙ্গনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।