শার্শায় বিএনপির কর্মসূচি বানচালে আ.লীগের হামলা, আহত ১০

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের শার্শায় অবস্থান কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (৯এপ্রিল) দুপুর দুইটার দিকে উপজেলার কামার বাড়ি ব্রিজের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও তারা নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনার জন্য শার্শা থানার এসআই সুমন সরকার এবং শার্শা ও নাভারণ এলাকার আওয়ামী লীগ মদদপুষ্ট চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন।
হামলায় আহতদের মধ্যে যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব  অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসান জহির ও উপজেলা যুবদলের সদস্য আলমগীর হোসেন টিপুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার শোনার পর পরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নেতাদের কাছে যশোর থেকে ছুটে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি আহত নেতাদের নিজের গাড়িতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে নিয়ে যান।
শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান আহত আবুল হাসান জহির বলেন, পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির স্থান নির্ধারণ করা হয় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। সময় নির্ধারণ করা হয় দুপুর ২টায়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক দফতর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকূল হাসান তৃপ্তি ও তিনিসহ নাভারণ বাজার থেকে নেতা কর্মীদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের উদ্যেশ্যে রওনা হন। নেতাকর্মীদের বহরটি শার্শা কামারবাড়ি ব্রিজে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসী শ্যামলাগাছির রফিকুল ইসলাম, পোতা পাড়ার রফিকুল, তরিকুল ইসলাম ঝন্টু, মন্টু, লাল্টু, চকপোতার তোতা, শার্শার রুবেল, নাভারণের জাকিরসহ ৫০/৬০ জনের সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। হামলাকালে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের একান্ত সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আহত নেতৃবৃন্দকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক বিচিত্রা মল্লিক বলেন, আহতদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় মহড়া দিচ্ছিল। তারা সেখানে রাসেল স্মৃতি সংসদে অবস্থান নিয়েছিল। দুপুরে বিএনপি নেতারা দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় হামলা করা হয়।
শার্শা থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।