রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ রামপালে আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার ( ১ এপ্রিল) রাতে রেজাউল কুদরতি রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পরে রাতে অভিযান চালিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবু তালেব শেখ ও বর্তমান ইউপি সদস্য কবির হোসেন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে রামপাল থানা পুলিশ ।
আহতরা হলেন, বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত মাওলানা খায়রুল বাশারের ছেলে কুদরতি এনামুল বাশার বাচ্চু (৫০), একই গ্রামের মোবারক শেখের ছেলে মহব্বত আলী শেখ (৫৪), মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম (৩০), আব্দুর রউফের ছেলে কোহিনূর কুদরতি (৩২), মহব্বত আলী শেখের ছেলে হুসাইন শেখ (৩৩) ও আবুল হাসান শেখ (৩৫) এবং আব্দুর রউফের ছেলে মো. রেজাউল কুদরতি। অন্যপক্ষের আহতরা হলেন, আব্দুর রউফের ছেলে পলাশ শেখ (৩৫) ও তার ভাই নাহিদ শেখ (৩০) ও মৃত তাছিন শেখের ছেলে মারুফ শেখ। আহতরা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা ও বাগেরহাটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শনিবার(২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫ টারদিকে ইসলামাবাদ তিন রাস্তার মোড়ে ফরহাদের দোকানের সামনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধ, মৎস্যঘের বিরোধ ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একই দলের প্রতিপক্ষের ওপর দা, লাঠি ও রড নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আবু তালেব, মারুফ শেখ, মাসুম শেখ, মোস্তাফিজ শেখ, হুমায়ুন শেখ, মাসুম বিল্লাহ, বাকী বিল্লাহ, শরাফত কাজী, খোকন শেখ, পলাশ শেখ, নাহিদ শেখ, আসাদ শেখ, আব্দুল্লাহ শেখ, আবু বকর, রবি ও হাসিবসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হামলা করেন। এতে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন।
আল আমীন জানান, হামলার সময় আমি ছিলাম না। আমি কিছু জানি না। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আমার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আহত মাসুম বলেন, রেজাউলসহ অন্যরা পলাশকে মারপিট করার সময় আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা করে পলাশসহ তিন জনকে আহত করেছে।