যশোরে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুই জন খুন !

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে পৃথক স্থানে  শুক্রবার (৩১ মার্চ ) রাতে এক ঘন্টার ব্যবধানে ছুরিকাঘাতে দুই জন খুন হয়েছে। সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই ইউনুস আলী (২৫) এবং শহরের পূর্ব বারান্দী নাথপাড়ায় নাহিদ (১৭) নামে এক কিশোর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়। তবে পুলিশ দুটি হত্যার সাথে জড়িত কাউকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক করতে পারেনি।
নিহত ইউনুস আলী সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং নাহিদ শেখহাটি তমালতলা এলাকার জনৈক বাচ্চুর ছেলে।
ঘুুরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল শেখ জানান, নিহত ইউনুস তার বন্ধু। ইউনুস শ্রমিকের কাজ করতেন। ছোটভাই ইউসুফ পারিবারিক বিষয় নিয়ে বড় ভাবিকে মারধর করেন। এ নিয়ে রাত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে গোলাযোগ হলে ইউসুফ তার বড়ভাই ইউনুসের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। সাথে সাথে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের ডাক্তার শুভাশীষ রায় জানান, রাত ৮টা ৫৫ মিনিটের দিকে ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
ওই ঘটনার প্রায় এক ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের পূর্ব বারান্দী নাথপাড়ায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নাহিদ নামে এক কিশোর গুরুতর জখম হয়। পরে তার বন্ধুরা তাকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাহিদের বন্ধু সিয়াম ও জিসান জানায়, নাহিদদের আর এন রোডে মটরপার্টসের দোকান রয়েছে। তারা তারাবির নামাজ পরে বারান্দী নাথপাড়ায় গেলে নাদিহকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। বুকের বিভিন্ন স্থানে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সাথে সাথে তারা নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা আরও জানায়, কে বা কারা কীজন্যে নাহিদকে ছুরি মেরেছে তা জানে না।
হাসপাতালের ডাক্তার সালাহউদ্দিন বাবু জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. তাজুল ইসলাম ঘুুরুলিয়ার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানান, পারিবারিক গোলাযোগের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। বারান্দী নাথপাড়ায় নাহিদ নামে এক কিশোর খুন সম্পর্কে তিনি জানান, কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে তা তারা এখনো জানতে পারেননি।
এদিকে দুটি হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে কোতয়ালি পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে বলে সর্বশেষ জানা গেছে।