জিলবুনিয়া কামলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শিক্ষায় এক ব্যতিক্রমী নাম

0

শামীম আহসান মল্লিক, মোরেলগঞ্জ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ৩০৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ব্যতিক্রমী একটি বিদ্যালয়ের নাম জিলবুনিয়া কামলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই বিদ্যালয়ে বছরে এমন কোন উৎসব নেই যাতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের উপহার দেয়া হয় না। যার কারণে এই বিদ্যালয়ের নাম বাগেরহাট জেলাসহ খুলনা বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মুখে মুখে।
এই বিদ্যালয়ে রয়েছে রয়েছে সুসজ্জিত ফুল ও ফলের বাগান, শিশুপার্ক, সুন্দরবনের জীববৈচিত্রসহ
বিভিন্ন পশু- পাখি, গাছপালার সমাহার। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন মনীষী, কবি, সাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের ছবি, বাংলাদেশের মানচিত্র প্রভৃতি।
দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে রয়েছে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা। দূর- দূরান্ত থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে আছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। এ জন্যেই ব্যতিক্রমী এ বিদ্যালয়ের নাম মানুষের মুখে মুখে।
এসব কিছু সম্ভব হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার মনিরুল ইসলামের অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিকতায়। সহকারী শিক্ষকরাও তাকে সহযোগিতা করেন।
প্রধান শিক্ষক জানান, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম হাওলাদার। তিনি স্কুলের উন্নয়নে শতভাগ সহযোগিতা করেন। কাস্টমস কর্মকর্তা সালেকান রুনু সহযোহিতা চাইলে ফেরান না। তিনি ব্যক্তিগত টাকা থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্যে লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে একটি ফোয়ারা তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুদান দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের অব্যাহত রেখেছেন।
বিদ্যালয়টিকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার জন্যে মিঠু শিকদারসহ আরো কয়েকজন মানুষের অবদান আছে।
সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম হাওলাদারের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবে আয়োজন করা হয়। পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মুস্তাফিজুর রহমান।
পাশের হোগলাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলামও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার দিয়ে সহযোহিতা করেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মুস্তাফিজুর রহমান ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও মেধাবিকাশের ব্যাপারটা নিজে ক্লাস নিয়ে যাচাই করেন।