ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যায় স্বামী ও সতীনের ফাঁসি

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ও সতীনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ ) চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান। দণ্ডিতরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আ. গনি বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. চম্পা খাতুন। দণ্ডিতরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার রায়ে জানা যায়, ঝিনাইদহের হলিধানী বাজারে মাজেদা খাতুন ডিম ও তরকারীর ব্যবসা করতেন। সেই সূত্রে আসামি শহিদুলের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে মাজেদা রামচন্দ্রপুর গ্রামে সতীন ও স্বামীসহ একসাথে বসবাস করতেন। একসময় শহিদুল মাজেদার নিকট ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করেন। মাজেদা এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতেন। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি মাজেদা ঘরে শুয়ে ছিলেন। এসময় তার স্বামী শহিদুল ও প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন মাজেদাকে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তার মুখমন্ডল, স্তন ও যৌনাঙ্গ ঝলসে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মাজেদার কোন আত্বীয়-স্বজন না থাকায় স্থানীয় চৌকিদার শহিদুল ইসলাম ঐদিনই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিলে চার্জশিট প্রদান করে। ১০ বছরের অধিক সময় ধরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ এর ১১(ক)/৩০ ধরায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি বজলুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে তিনি খুশি।