স্বামীকে হত্যার আড়াই বছর পর স্ত্রী গ্রেফতার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আড়াই বছর আগে যশোরের চৌগাছার বাসিন্দা ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ব্যবসায়ী আসলাম উদ্দিনের বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া গিয়েছিলো বুড়িগঙ্গা নদীতে। সেই হত্যাক জড়িত তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণাকে বুধবার আটক করেছেন যশোরের র‌্যাব সদস্যরা। যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র‌্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর ক্যাম্প কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, ২০২০ সালের ৫ জুলাই দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের পোস্তগোল ব্রিজের কাছে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
এ ঘটনায় সেই সময় হাসনাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. মাহাবুবুর রহমান অজ্ঞাতদের আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে জানতে পারেন, নিহত ব্যক্তির নাম আসলাম উদ্দিন। তিনি যশোরের চৌগাছার বাসিন্দা। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকায় তিনি ব্যবসা করতেন। আসলাম উদ্দিনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা নিখোঁজ ছিলেন। উম্মে হাবিবা কণার তৃতীয় স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী আসলাম উদ্দিন। এছাড়া তার দ্বিতীয় স্বামী ডালিমও একই সাথে নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে র‌্যাব-২ ঢাকার সদস্যরা সন্দেহভাজন আসামি ডালিমকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ডালিম স্বীকার করেন যে, তিনি এবং কণা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসলাম উদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন। লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান আরো জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে পলাতক কণাকে তারা আটক করেন। দীর্ঘদিন ধরে কণা নওয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কণা কৌশলে টাকা পয়সা হাতিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন। অর্থ আত্মসাৎ করায় এ নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হওয়ায় দ্বিতীয় স্বামী ডালিমের সহায়তায় আসলাম উদ্দিনকে শ্বাসারোধে হত্যা করেন। পরে তারা দুই জনে লাশটি বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন।
আটক কণার বাড়ি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের কবুতরপাড়া এলাকায়। তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছেন যশোরের র‌্যাব সদস্যরা।