গানে নৃত্যে বসন্তবরণ

0

মাসুদ রানা বাবু॥ “ আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে তব অবগুন্ঠিত জীবনে কোরো না বিড়ম্বিত তারে” শীতের জড়তা কাটিয়ে প্রকৃতিতে এখন মাঝে আবার ফিরে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। নেচে গেয়ে ঘোরাঘুরির মধ্য দিয়ে ,পহেলা ফাল্গুনে ঋতুরাজকে বরণ করে নেয় যশোরবাসী। এদিন বিকেলে শহরের ঐতিহ্যবাহী পৌর উদ্যানের সবুজ চত্বরে উদীচী যশোর আয়োজিত বসন্ত উৎসবে মেতে ওঠেন শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে মধ্য বয়সীরা।
বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা’ সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বেলা চারটায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বসন্ত উৎসব শুরু হয়। এরপর যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান উৎসবে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, উদীচী যশোরের সভাপতি তন্দ্রা ভট্রাচার্য প্রমুখ।
যদিও বেলা চারটায় উদীচী যশোরের বসন্ত উৎসব শুরু হয়, তবে তার অনেক আগে থেকে পৌর উদ্যানে শিশু কিশোর-কিশোরী মধ্য বয়সী নারী পুরুষ সমবেত হন। কারও হাতে ছিল গোলাপ, কারও হাতে ছিল রজনী গন্ধা, জারবেরা ফুল। শিশু থেকে কিশোরীদের খোপায় শোভিত ছিল নানান রঙয়ের ফুল।
উৎসবের অনুষ্ঠানে নজরুল সঙ্গীত ‘এসো প্রিয় মান রাঙিয়ে’ পরিবেশন করেন সৃজিতা, জলের গান (বকুল ফুল বুকল ফুল) গানটি মিতির কণ্ঠে পরিবেশিত হয়। এরপর প্রীতির কণ্ঠে ‘সখি তোরা প্রেম করিও না’, আঁচলের কন্ঠে তুমি এসে আমার মনে, , সমৃদ্ধির তখন তোমার একুশ বছর,শেখরের কন্ঠে আবার এলো যে সন্ধ্যা, সুব্রত’র কন্ঠে পথে চলতে পথে চলতে,গোবিন্দের কন্ঠে যেখানে সীমান্ত আমার, নাহারের কন্ঠে বান্ধিলাম প্রীরিতের ঘর, মুস্তাহিদের কন্ঠে চলে আমার চান্দের গাড়ি,সুমনের কন্ঠে আমারে আসিবার কথা গানটি একে একে পরিবেশিত হয়। এছাড়া ইভা,পিয়ন্তী, শ্রাবন্তী,বুশরার সমবেত কন্ঠে আশ্বিন ফাগুন মাসে গান টি পরিবেশিত হয়। আদিতা ও জয়ীর যৌথ কন্ঠে তোমার ঘরে বাস করে গানটি পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি কালজয়ী বাংলা গানের সাথে সাথে উদীচী যশোরের ছোট ও বড় শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। সবশেষে নন্দিতার কন্ঠে মহুয়ায় জমেছে আজ মৌ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উদীচী যশোরের বসন্ত উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।  এদিকে পৌর উদ্যানে সকাল ১০ সন্ধ্যা পৌনে ৬।