আখ কাটতে সুগারকেইন কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের ব্যবহার কেরুতে

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের বাণিজ্যিক খামারে উৎপাদিত আখ কাটার মধ্য দিয়ে প্রাথমিকভাবে প্রথম শুরু হয়েছে সুগারকেইন কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রের ব্যবহার। এর ফলে শ্রমিক ব্যয় সাশ্রয় ও আখের অপচয় রোধ এবং আখ মাড়াইয়ে চিনি আহরণের মাত্রা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের খামার ব্যবস্থাপক সুমন কুমার সাহার দেয়া তথ্য মতে,সুগার কেইন কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র ব্যবহার করে ফুরশেদপুর গ্রামের বাণিজ্যিক খামারের জি ব্লকে ৬ দশমিক ৫০ একর ও ডিহি গ্রামের এফ ব্লকে ৮ একর জমিতে উৎপাদিত আখ কাটা হয়েছে। ফুরশেদপুর খামারে ১৩২ দশমিক ৩৭ ও ডিহি খামারে ১৪৫ দশমিক ৯৬০ মেট্রিকটন আখ কাটা হয়। ফুরশেদপুর খামারে ২১ ঘন্টা আখ কাটতে ৪৬ হাজার ৬০০ টাকা ও ডিহি খামারে ১৯ ঘন্টা আখ কাটতে ৫৪ হাজার ৪৪৮ টাকা ব্যয় হয়েছে। দুটি খামারের আখ কাটতে মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ১ হাজার ৪৮ টাকা। দুটি খামারে আখ কাটতে গড় ব্যয় হয়েছে টন প্রতি ৩৬৩ দশমিক ০৫ টাকা ও প্রতি ঘন্টায় গড় কাটার পরিমাণ ৬ দশমিক ৯৬ মেট্রিকটন এবং একর প্রতি গড় ফলন পাওয়া গেছে ১৯ দশমিক ২০ মেট্রিকটন।
তিনি আরো জানান, সাধারণ শ্রমিক দিয়ে ফুরশেদপুর গ্রামের জি ব্লকে ৮ একর ও ডিহি গ্রামের এফ ব্লকে ১৩ দশমিক ২৫ একর জমির উৎপাদিত আখ কাটানো হয়। দুটি খামারে আখ কাটা হয় ৩৮০ দশমিক ৪৯০ মেট্রিকটন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে ফুরশেদপুর ও ডিহি খামারে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫ টাকা। গড় ফলন একর প্রতি ১৭ দশমিক ৯১ মেট্রিকটন পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে আখ কাটতে টন প্রতি ব্যয় হয় ৩৬৩ দশমিক ৫ টাকা আর সাধারণ শ্রমিক দিয়ে আখ কাটাতে ব্যয় হয়েছে ৮০৪ দশমিক ৩২ টাকা। টন প্রতি ব্যয়ের পার্থক্য ৪৪১ দশমিক ২৭ টাকা।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, সুগার কেইন কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্র ব্যবহার করে আখ কাটার কারণে শ্রমিক সঙ্কট দূর এবং ব্যয় সাশ্রয় হবে।