স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ক্ষুধার্ত জনগণকে মেগা উন্নয়নের গল্প দিয়ে তৃপ্ত করা যাবে না। তারা আজ ক্ষুধার রাজ্যে, উন্নয়নের গল্প দিয়ে তাদের পেট ভরবে না। জনগণ ভালো না থাকলে কোন উন্নয়নই কাজে আসে না। কারণ জনগণের জন্য উন্নয়ন আর সেই জনগণ যদি ভালো না থাকে তাহলে সেই উন্নয়ন দিয়ে কী হবে ?
তিনি বলেন, সমগ্র জনগণ আজ অসহায় অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। ধণীক শ্রেণীরা দরিদ্রদের কাতারে দাঁড়াচ্ছেন। বড় বড় ব্যসায়ীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীতে পরিণত হচ্ছেন। আর আমরা নাকি উন্নয়নের মহসড়কে আছি।  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের কৃষির বিপ্লব ও শহীদ জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান আলোচকের বক্তৃব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা কৃষক দলের আয়োজনে  সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, বর্তমান কতৃত্ববাদী সরকার শহীদ জিয়াউর রহমানের সকল কৃতিত্বকে অপহরণ করছে। আজকে তারা যে উন্নয়নের ঢাক ঢোল পিটাচ্ছে তার অবদান শহীদ জিয়াউর রহমান। আজকে দেশের যত উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তার শুরুটা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি অত্যান্ত সংকটকালীন সময় দেশের হাল ধরে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে আধুনিক ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। তার উন্নয়নের সুফল জনগণ ভোগ করছে। তিনি বুঝেছিলেন কৃষি নির্ভর অর্থনীতির এই দেশে কৃষির উন্নয়ন ছাড়া অর্থনীতির ভিত মজবুত করা সম্ভব নয়। সেজন্য গ্রামের পর গ্রামে ঘুরে কৃষি ও কৃষকের সমস্যা অনুধাবন করে তার সমাধান করেছিলেন। খাল খনন, গ্রামে গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি, সেচ, উন্নত বীজ,উন্নত যন্ত্রপাতি ও কলা কৌলশ সংযোজন মধ্য দিয়ে দেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। যা দেশের উন্নয়নে এক নব দিগন্তের সূচনা করেছিল। তিনি কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকায়ন করেছিলেন। কৃষকদের বিনাজামানতে ঋণের পাশাপাশি ভূমিহীন কৃষকদের জন্য খাস জমি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করেছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান সার কারখানা স্থাপন থেকে শুরু করে গবেষণাগার, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করছিলেন। দেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে ও বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তাদের প্রশিক্ষিত করে মাছ ও গবাদি পশু পালনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আজ দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে শহীদ জিয়াউর রহমানের মত সৎ নিলোর্ভ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতার বড়ই প্রয়োজন।
সেমিনারে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।  জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শিকদার সালাহ উদ্দিনের পরিচালনায় সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক দল নেতা শাহজাহান আলী, জাকির হোসেন, মশিয়ার রহমান, এস এম কামরান হোসেন, আমিরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, শওকত আলী, জসিম উদ্দিন, আজগর আলী, শাহিনুর রহমান, মিলন বিশ্বাস, তরিকুল ইসলাম, অধ্যাপক নুরুজ্জামান, বেলাল হোসেন, আমিনুর রহমান,নজরুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, আসাদুজ্জামান রাসেল, কামাল হোসেন প্রমুখ।