রাজীব হত্যার পরিকল্পনায় প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে সন্দেহ স্থানীয়দের

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকার চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যা পরিকল্পনায় একটি প্রভাবশালী মহল জড়িত বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা। সজীবকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে হত্যা ও পরিকল্পনার সাথে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে রাজীব হত্যাকাণ্ডের সময় পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকায় সজিব নিয়ন্ত্রিত ওই আওয়ামী লীগ অফিসে দলীয় অনেক নেতাকর্মীর যাতায়াত ছিলো। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরাও সেখানে আড্ডা দিতো। নিহত রাজীব ছিলো সজিবের একজন সহযোগী। রাজীব খুলনা থেকে কাজের সন্ধানে চাচা হাসমতের সাথে যশোরের পুরাতন কসবায় আসার পর সজিবের সাথে তার পরিচয় ঘটে। সেই থেকে তার সাথে চলাফেরা করতে থাকেন রাজীব। সজিবের অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গীও ছিলেন তিনি। হয়ত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় রাজীবকে নৃসংশভাবে হত্যা করেছেন সজিব। ওই সময় সজিবকে যারা শেল্টার দিতো সেই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল রাজীব হত্যা পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ স্থানীয় লোকজনের। সজিবকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে হত্যা পরিকল্পনার সাথে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসতে পারে। এছাড়া হত্যার সাথে সজিবের আরো কয়েক সহযোগী জড়িত রয়েছে। সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে হত্যা এবং লাশ গুমের সাথে সরাসরি জড়িত এসব সহযোগীর নাম পাওয়া যেতে পারে। সূত্রটি আরো জানায়, পুরাতন কসবা নিবিরিলি এলাকায় ড্রামের ভেতর পাওয়া কংকালটি রাজীবের শনাক্ত হওয়ার পর সজিবের সাথে যারা চলাফেরা করতো আটকের ভয়ে তারা আত্মগোপন করেছেন। যে কারণে সজিবের অনেক সঙ্গীকে এলাকায় দেখা মিলছেনা।
উল্লেখ্য, কারাগারে আটক সজিবকে রাজীব হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতোমধ্যে পিবিআই আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক সজীবের দুই সহযোগী ইব্রাহিম মোল্লা ও জয়নাল হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।