যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন শুনানি হলেও আদেশের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন নিয়ে আদালতে অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও কোনো আদেশ দেননি বিচারক।  বুধবার সকালে যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ সুজাতা আমিনের আদালতে পিটিশন মামলার ওপর দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনে বিচারক আগামী রোববার আদেশের জন্যে দিন ধার্য করেছেন বলে আইনজীবীরা জানান।
গত ৭ জানুয়ারি যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত থাকলেও নির্বাচনের দুইদিন আগে একজন ব্যবসায়ী ভোটার তালিকায় কয়েকজনের বৈধতা নিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। আদালত চেম্বার নির্বাচনের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়ে এক কার্যদিবসের শুনানির নির্দেশনা দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে গত রবিবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও এদিন এ বিষয়ে জবাব না দিয়ে সময় প্রার্থনা করেন চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসানের পক্ষে জিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল। এরপর থেকে আদালতে ঝুলে যায় এ বিষয়ে শুনানি কার্যক্রম। এরই মধ্যে চেম্বারের নির্বাচনে অংশ নেয়া দুটি প্যানেলর প্রার্থীরা বিবাদি হিসেবে স্বেচ্ছায় শ্রেণিভুক্ত হওয়ার পর বুধবার আদালতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করে।
এ বিষয়ে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল লিডার আলহাজ মিজানুর রহমান খান বলেন, সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম বুধবার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ আসবে এবং যশোরের ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ এ সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু সেটি না হয়ে আগামী রবিবার আদেশের জন্যে বিচারক দিন ধার্য করেছেন। নির্ধারিত তারিখেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি আশা করেন। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন যশোরের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলে জানান মিজানুর রহমান খান।
অন্যদিকে মামলার বাদীপক্ষের আইনজী ছিলেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন, জিপি কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।