চৌগাছায় মোড়ে মোড়ে ওয়েল্ডিং কারখানা

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছাতে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ। মাত্র এক দশকের ব্যবধানে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামের বাজার, পাড়া- মহল্লার মোড়ে মোড়ে এমনকি আবাসিক এলাকাতে এক সময়ের কর্মচারী বর্তমানে মালিক হয়ে যেনতেনভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় এমনকি রাতেও চলে কাজ। একদিকে ওয়েল্ডিং এর আলোরশ্মি অন্যদিকে হাতুড়ির অবিরাম শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী যেনতেনভাবে গড়ে ওঠা এসব ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র পৌর এলাকাতেই ৪০ থেকে ৪৫টি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ গড়ে উঠেছে। আর গোটা উপজেলাতে এর সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে। যা দশ বছর আগেও ছিলো হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম বিদ্যুতের আওতায় চলে আসায় গ্রামের হাটবাজার এমনকি মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ করতে গেলে ওয়েল্ডিং মেশিন, সান মেশিন, ড্রিল মেশিন, হাঁতুড়ি, রেলপাটি এবং বিদুৎ সংযোগ হলেই যথেষ্ঠ। এ জন্যে ব্যবসায়ীর সবকিছু মিলে লাখ টাকা ব্যয় হয়। চৌগাছা বাজারে বহু পুরনো ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী শাহাজান ওয়েল্ডিং রবিউল ওয়ার্কশপসহ বেশ কিছু ব্যবসায়ী জানান, ৩ থেকে ৫ বছর আগেও যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তারাই এখন গ্রামাঞ্চলে গিয়ে ওয়েল্ডিং’র দোকান করে বসেছেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ওয়েল্ডিং’র দোকান হওয়ায় মানুষ যেমন সুবিধা পাচ্ছে তেমন অসুবিধাও হচ্ছে। বাজারের একাধিক ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যারা দোকানে কর্মচারী ছিলেন তারা এখন মালিক বনে গেছেন। বাজারে সব কিছুর দাম বেশি, এমনকি একটি দোকান ভাড়া নিতে হলে ৫/৭ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিতে হচ্ছে আর ভাড়া প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা। আমরা একটি কাজ ১০ টাকায় করলে গ্রামের ব্যবসায়ীরা তা ৮ টাকায় করে দিচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠা ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ীদের কারণে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।