গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাত, ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টসহ ১১ জনের নামে চার্জশিট

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চতুরবাড়িয়া বাজার এজেন্ট আউটলেটের পরিচালক আনোয়ার জাহিদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. আরিফুল ইসলাম।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের কাজী আবু বক্কারের ছেলে বর্তমানে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার তেলিধান্যপুড়া গ্রামে শ্বশুর মাওলানা সোলাইমানের বাড়িতে বসবাসকারী কাজী মুশফিকুর রহমান ওরফে রতন, হালদা গ্রামের আনোয়ার জাহিদের স্ত্রী বুলবুলি খাতুন, জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে আব্দুল মাজেদ মোল্লা ও আব্দুল আজিজ মোল্লা, বেতালপাড়া গ্রামের সুরমান আলী মোল্লার ছেলে আমিনুর রহমান, সদর উপজেলার বানিয়াবহু পশ্চিমপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন, শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার মৃত আয়নাল ঢালীর ছেলে রজ্জত আলী, শিকড়ী পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে ইমামুর রহমান ওরফে ইমাম, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা (পান্তাডাঙ্গা) গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আমজেদ হোসেন ও মাগুরার শালিখা উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের তাহের ভূঁইয়ার ছেলে রাজু হোসেন।
উল্লেখ্য, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চতুরবাড়িয়া বাজার এজেন্ট আউটলেটের ৩৪ জন গ্রাহকের ৪১ লাখ ৬শ’ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৮ জনকে আসামি করে ২০২১ সালের ৬ জুলাই বাঘারপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশন যশোরের রিলেশনশিপ অফিসার লিকো আহমেদ মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন, চতুরবাড়িয়া বাজার এজেন্ট আউটলেটের পরিচালক আনোয়ার জাহিদ ও তার স্ত্রী বুলবুলি খাতুন এবং মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের কাজী মুশফিকুর রহমান রতন, ছান্দড়া গ্রামের রাজু ভূঁইয়া, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা (পান্তাডাঙ্গা) গ্রামের আমজাদ আলী মোল্লা, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার হালদা গ্রামের আব্দুল মাজেদ মোল্লা, আব্দুল আজিজ মোল্লা ও বেতালপাড়া গ্রামের সুরমান আলী মোল্লার ছেলে আমিনুর রহমান।
আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্তকালে ডিবি পুলিশ এর সাথে আরো ৩ জনের সম্পৃক্ততা পায়। এরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বানিয়াবহু পশ্চিমপাড়ার শাহীন হোসেন, শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার রজ্জত আলী ও শিকড়ী পশ্চিমপাড়ার ছেলে ইমামুর রহমান ওরফে ইমাম। এ কারণে তদন্ত শেষে উল্লিখিত ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আরিফুল ইসলাম।