রাজগঞ্জে আটার দামে দিশেহারা ক্রেতা

0

 

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর)॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের রাজগঞ্জে গত এক মাসে তিন দফা বেড়েছে আটার দাম। প্রতিকেজি আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫টাকা। আর দুই কেজি ওজনের প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকায়। তবে খোলা আটা কিনলে কেজিতে ৫ থেকে ১০টাকা পর্যন্ত কম পাওয়া যাচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে রাজগঞ্জ বাজারসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারে আটার দামে উর্ধ্বমুখী প্রবনতা যেন থামছেই না।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই তিনদফা বেড়েছে এ পণ্যটির দাম। কয়েকটি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরেকদফা বেড়ে এখন দুই কেজি প্যাকেটজাত আটার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫০টাকায়। সেই হিসেবে প্রতিকেজি আটার দাম পড়ছে ৭৫টাকা করে। আর বাজারে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরে। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে কিছু কিছু দোকানে দুই এক টাকা কমে কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গত অক্টোবর মাসে খোলা আটা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা দরে। আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৬২টাকা কেজিদরে। কিন্তুু সেই আটা গত নভেম্বর মাসে তিনদফা দাম বেড়ে এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে খোলা আটা প্রতিকেজি ৬৫ থেকে ৬৭টাকা ও প্যাকেটজাত আটা প্রতিকেজি ৭৫টাকা দরে। এদিকে পরিস্থিতি দিনদিন যেভাবে অবনতি হচ্ছে তাতে খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ কমানো ছাড়া কোন উপায় দেখছেন না সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
বিক্রেতারা বলছেন, কিছুদিন ধরেই সরবারাহ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকায় প্যাকেটজাতসহ সকল প্রকার আটার দাম বেড়েছে। তাদের দাবি, বছরের এই শেষ মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে সকল পণ্যেরই সংকট দেখা দেয়। এতে করে দাম কিছুটা বেড়ে যায়। তবে কোম্পানিগুলোর পণ্য সরবরাহ না করাকে দায়ী করছেন দোকানিরা। রোববার রাজগঞ্জ বাজারে আটা কিনতে আসা পত্রিকা বিক্রেতা হানুয়ার গ্রামের জালাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম, রাজগঞ্জ কলেজপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী গাজী ও আনারুল ইসলাম, মনোহরপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আবুল বাসার ও রামনাথপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ছোট-বড় সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা হলেও উপেক্ষিত থেকে যায় ভোক্তার ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনার অধিকার। রাজগঞ্জ বাজারের চাল আটা ব্যবসায়ী আশুতোষ ও আইউব হোসেন বলেন, বাজারে চড়াদাম অব্যাহত রয়েছে আমদানিকৃত প্রায় সব ধরণের ভোগ্য পণ্যেরই। তবে কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানোর পরও চাল-আটা সরবারাহ না করায় রাজগঞ্জ অঞ্চলে কিছুটা সংকট চলছে।