ঝিকরগাছায় শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে পাকা বাড়ি নির্মাণের কারণে শহিদুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষকের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেয়ায় তার ঘরে ঢুকে ভাঙচুর এবং তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আলতাফ হোসেন। তিনি একই গ্রামের মৃত বাদশা মোড়লের ছেলে। শহিদুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেছেন, তিনি শিক্ষকতা করেন এবং স্থানীয় বাজারে তার দোকানঘর রয়েছে। পৈত্রিক জমিতে তিনি নতুন পাকা বাড়ি নির্মাণের সময় আসামি আলতাফ হোসেন ও তার সহযোগীরা চাঁদা দাবি করেন। এ জন্যে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হতো। বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আসামি আলতাফ হোসেন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শহিদুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে বলেন,‘আমাদেরকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তা না হলে আমরা তোকে ওই জায়গায় বাড়িঘর নির্মাণ করতে দেব না’। এরপর গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আলতাফ হোসেন কালো কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ৬/৭ জন সঙ্গীকে সাথে নিয়ে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাকে গালিগালাজ করেন এবং ঘর হতে বের হতে বলেন। তখন শহিদুল ইসলাম ঘর থেকে বের হয়ে এলে তার গলায় ছুরি ধরে তাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এরই মধ্যে আলতাফ হোসেনের সহযোগীরা শহিদুল ইসলামকে বেঁধে রেখে দেন এবং ঘরের ভেতর ঢুকে ভাঙচুর করেন। এ সময় আসামিরা শহিদুল ইসলামকে হুমকি দিয়ে বলেন,‘তোর কাছে আমরা ২ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই চাঁদা না দিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছিস। এবার দেখি তোকে কে রক্ষা করতে পারে। তোর ঘরে যে টাকা আছে আমাদের দিয়ে দে। তা না হলে তোকে মেরে লাশ গুম করে দেব’। এরপর আসামি আলতাফ হোসেন ঘরে থাকা প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেন। এ সময় শহিদুল ইসলামের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।