অজ্ঞান পার্টির কাছ থেকে গহনা কিনে জুয়েলার্স মালিক আটক মনিরামপুরে

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে চোরাই স্বর্ন ও রুপার গহনাসহ সুন্দরী জুয়েলার্সের মালিক সুমন চক্রবর্তী আটক হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির কাছ থেকে গহনা কেনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন একটি সংঘবদ্ধ অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা বিভিন্নস্থানে বিশেষ করে বসতবাড়ির রান্নাঘরে জানালা দিয়ে কৌশলে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে দেয়। এ খাবার খাবার পর বাড়ির লোকজন যখন অচেতন হয়ে পড়ে তখন এ চক্রটি ঘরে থাকা স্বর্নালঙ্কারসহ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় এ চক্রটি সম্প্রতি কেশবপুরে এক বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে স্বর্নালঙ্কার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম চক্রটিকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে।
এরই অংশ হিসেবে পুলিশ রোববার যশোরের বাহাদুরপুর গ্রামে অভিযানে চালিয়ে মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে অজ্ঞান পার্টির সদস্য বিশু (২৪)কে চেতনানাশক পদার্থ ও বিভিন্ন ট্যাবলেটসহ আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে চোরাইকৃত গহনা সে বিক্রি করেছে মনিরামপুরে সুন্দরী জুয়েলারিতে। এরপর গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম আটক বিশুকে সাথে নিয়ে পৌরশহরের সুন্দরী জুয়েলারিতে অভিযান চালিয়ে চোরাই গহনার মধ্যে এক ভরি চার আনা স্বর্ন ও সাত ভরি রুপার গহনা উদ্ধার করে। এসময় আটক করা হয় জুয়েলারির মালিক উপজেলার মোহনপুরের সুমন চক্রবর্তীকে। অভিযানের সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর জুয়েলারী সমিতির সভাপতি অরুন পালিত ও সাধারন সম্পাদক গোবিন্দ ঘোষ, সাংবাদিকসহ অরো অনেকেইে। অবশ্য জুয়েলারি মালিক সুমন জানান, তিনি কাশিপুর এলাকার শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এ স্বর্ণালঙ্কার কিনেছেন। ডিবি পুলিশের অপর একটি সূত্র জানান, চোরাইকৃত স্বর্ণ বেচাকেনায় জড়িত শহিদুলকে আটক করতে ডিবি পুলিশের টিমটি অভিযান শুরু করেছেন। টিমের নেতৃত্বদানকারী এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, অভিযান শেষে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।