যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওষুধ সংকট অব্যাহত

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারি ওষুধ সংকট যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অব্যাহত রয়েছে। রোগীরা ওষুধ না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এ হাসপাতালে রোগীর ভিড় যেমন বেশি তেমনি ওষুধের চাহিদাও বেশি। বর্তমানে এ হাসপাতালে চলছে সরকারি ওষুধের চরম সংকট। রোগীরা বহির্বিভাগের ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ পাচ্ছেন না। আগে হাসপাতালে থেকে সরবরাহকৃত ৫২ প্রকার ওষুধের তালিকা দেয়া হতো। গত সেপ্টেম্বরে তালিকা দেয়া হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ প্রকার ওষুধের। অক্টোবরে তা কমে ২৬টিতে নেমে এসেছে। এর ভেতর মানুষের অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের নাম নেই। ফার্মেসি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যেসব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, প্যারাসিটামল (৫০০এমজি) মেট্রোনিডজল (৪০০ এমজি) সিপ্রোফ্লক্সাসিন (৫০০ এমজি), নিভোমিসোল (৪০ এমজি), লোসারটিন (৫০ এমজি), এ্যাজিথ্রোমাইসিন (৫০০ এমজি) লিভোফ্লক্সাসিন (৫০০ এমজি), হাইড্রোসিসাইড (২৫ এমজি), মোনাস (১০ এমজি), কমেট (৫০০ এমজি), কারভিসটা (৬.২৫ এমজি, রোসুজস্টোটিন (১০ এমজি), এ্যাটোভাইস্টেটিন (১০ এমজি), ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সে, চোখের ড্রপ-ক্লোরাফেনিকল, সিপ্রোফ্লক্স্যাসিন, সিরাপ জিংক সালফেট (১০০ এমজি), সেফিক্সিন (৫০ এমজি), এ্যাজিথ্রোমাইসিন (৫০এমজি), ক্যাপসুল-ইসোমেপ্লাজন (২০এমজি), ইনডোমেট (২৫এমজি), ডক্সিসিলিন (১০০ এমজি), টেট্রাসাইক্লিন (৫০এমজি), সেফ-৩ (২০০ এমজি), লোসুন-ওমিট-বেনজোনিক এসিড, এবং ও,আর,এস স্যালাইন। হাসপাতাল থেকে ট্যাবলেট ফেক্সো, সিকাজিট, হাইসোমাইড, সিটিরিজিন, ফলিক এসিড, এ্যামোাক্সিসিলিন, এ্যামব্রোক্স, হিস্টাসিন ও পারমিথিনের মতো অতিপ্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। ফলে, প্রচুর রোগী বহির্বিভাগ থেকে ফিরে যাচ্ছেন ওষুধ না পেয়ে। গত সেপ্টেম্বরে ট্রাকে করে ওষুধ ও অন্যান্য মালামাল আনা হয়েছে। স্টোরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তা রাখা হয়েছিল বিভিন্ন খালি রুমে। কিছু বালিশ ও তুলা, ব্যান্ডেজ রাখা হয়েছিল ছোট একটি রুমে।
বিষয়টি নিয়ে স্টোরকিপার সাইফুল ইসলাম বলেন, কোন সংকট নেই। যা আছে তা চলছে। বর্তমান মাসের এ কয়েক সপ্তাহে ১ লাখ প্যারাসিটামল ক্যাপসুল ফার্মেসি থেকে খরচ হচ্ছে। যা রীতিমত বিষ্ময়কর। কারণ, সব রোগীর প্যারাি সটামল প্রয়োজন হয় না। গ্যাসের ওষুধও দেয়া হয় না।
জানা গেছে, হাসপাতালে অনেক মূল্যবান ওষুধ থাকে। যা রোগীরা পায় না। ইন্টার্ন করতে আসা সেবিকা, প্যাসেন্ট কেয়ার, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকরা স্লিপের মাধ্যমে সিংহভাগ ওষুধ নিয়ে যায়। ফলে ওষুধের সংকট দেখা দেয়। বাজারে যখন ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন হাসপাতালে সরকারি ওষুধ না পেয়ে সাধারণ রোগীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।