সরকার নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস বিক্রি সম্ভব নয়

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার নির্ধারিত ১২ শ টাকা দরে এলপি গ্যাস বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যশোরের এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
কোম্পানি নির্ধারিত মূল্যের সাথে সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যের কোন সমন্বয় না থাকায় তারা গ্যাস বিক্রি করে পুঁজি রক্ষা করতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে তারা গ্রাহকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
যশোর জেলা এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির জেলা সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম শামসুল কাদের, সহসভাপতি এসএম নূরউদ্দিন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কার্যকরি সদস্য মহিবুল আকাশ, ফসিয়ার রহমান , শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন,গ্যাসের বিভিন্ন কোম্পানি নির্ধারিত এক্সপ্লান্ট যে দাম রয়েছে তার সাথে সরকারের নির্ধারিত দামের সামান্য পার্থক্য রয়েছে। যে কারণে এসব গ্যাস কোম্পানি ডিপো থেকে কিনে এনে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি করলে তাদের ১শ থেকে দেড়শ টাকা লসে পড়তে হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই ভোক্তাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিভিন্ন খুচরো ব্যবসায়ীদের অর্ডার অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটররা এসব গ্যাস ডিপো থেকে আনতে সিলিন্ডার প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা খরচ হয়। এর বাইরে গোডাউন ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন, ইলেকট্রিক বিল, বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, ইনকাম ট্যাক্স ও ভ্যাটপ্রদানে আরও সিলিন্ডার প্রতি ২০/২৫ টাকা খরচ হয়। এর বাইরে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের সিলিন্ডার আনা নেয়া বাবদ আরও ৫০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হয়। এ অবস্থায় সরকার নির্ধারিত ১২০০ টাকার সিলিন্ডারে আরও অতিরিক্ত ১শ থেকে দেড়শ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যশোরের ব্যবসায়ীরা চরম সংকটে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানাানো হয়।
এ অবস্থায় গ্যাস ব্যবসায়ীরা যেন টিকে থাকতে পারে সেজন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।