শার্শার ইছাপুর গ্রামে বানিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ শুরু

0

 

আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর) সংবাদদাতা: শার্শার গোগা ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে বানিজ্যিক ভাবে আঙুর চাষ শুরু হয়েছে। ইছাপুর গ্রামের কৃষক মহসিন কবির ইউটিউব ও ফেসবুক দেখে ৮ মাস আগে ১৩ শতক জমিতে চয়ন জাতের ৩৬ টি আঙুরের চারা রোপন করেন। এখন তার বাগানে থোকা থোকা আঙুর ঝুলছে। প্রতিদিন দলে দলে ওকে যাচ্ছে তার বাগান দেখতে।

কৃষক মহসিন বলেন, বছরে তিনবার ফলন ধরবে আঙ্গুর গাছে। প্রথম ধাপে কম ধরন হলেও পরবর্তিতে প্রত্যেক গাছে প্রায় ২/৩ মন করে আঙ্গুর উৎপাদন হবে।

এর আগে শার্শায় বেশ কয়েকবার আঙুরের চাষ হলেও তা সুস্বাদু ছিল না। এবারই প্রথম এ চাষে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন মগসিন। জমিতে গাছ রোপনের মাত্র ২/৩ মাসে ফল আসতে শুরু করে তার বাগানে।

৯ কাটা জমিতে চয়ন জাতের ৩৬ টি আঙ্গুর গাছ রোপন করেছেন তিনি। পাশ্ববর্তি ঝিনাইদহ জেলা থেকে তিনি এ চারা গুলো সংগ্রহ করেছেন। তার দেখাদেখি এখন শার্শায় অনেকে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

মহসিন ১৩ শতক জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নেন।৷ তাতে ভারতীয় চয়ন জাতের ৩৬টি আঙ্গুর চারা রোপন করেন। বর্তমানে তার খরচ হয়ছে ৯০ হাজার টাকার মত।এখন বিক্রির অপেক্ষায়। তার দাবি বাংলাদেশের মাটিতে সুস্বাদু আঙ্গুর চাষে তিনিই প্রথম সফলতা পেয়ছেন।

কৃষি অফিসের সহযোগিতা ছাড়াই মহসিন স্বাভাবিক নিয়মেই গাছের গোড়ায় পানি, গোবর, ইটের সুরকি ও সার দিয়েই পরিচর্যা করে যাচ্ছে।এ বছর পোকা মাকড়ে গাছ ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে তিনি জানান।

সরকারী ও বেসরকারীভাবে চাষীদের মধ্যে আঙ্গুর চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হলে অল্প সময়ে আর্থিক লাভবান এবং গ্রামের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ সুগম হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তা মহসিন ।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল জানান, আমরা আঙ্গুর চাষের খবরটি শুনেছি।শোনার পর প্রাথমিকভাবে তাকে পরামর্শ দিয়েছি।সরকারি দিক নির্দেশনা আছে।যদি সেই মোতাবেক ফলাফল ভালো হয় তখন আমরা সরকারি ভাবে বলতে পারি আঙ্গুর চাষের বিষয়টি।এখন আঙ্গুর চাষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায় কিনা চেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়ে মহসিনকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি জানান।