যশোর এমএম কলেজের আসাদ হলে হামলা ভাঙচুর, ছাত্রলীগের তৌহিদকে দায়ি করে বিক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সরকারি এমএম কলেজের আসাদ হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ৪০-৪৫ জনের একদল সন্ত্রাসী সশস্ত্র অবস্থায় হলে প্রবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় হলের ৫ জন শিক্ষার্থী আহতসহ ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ সরাসরি জড়িত বলে সোমবার প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাকা মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭ টার কিছু আগে ৪০/৪৫ জনের একদল বহিরাগত হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে আসাদ হলে প্রবেশ করে। এসময় তারা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হলে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। হকিস্টিক, লোহার রড দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় মাস্টার্সের ছাত্র পিয়াল, অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র রকি, ৪র্থ বর্ষের পল্লবসহ ৫ জন আহত হন। আহতদের একজন যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এ সময় হলের দুটি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদের অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্র কমন রুম, শহিদ মিনার, রোভার অফিস ও ছাত্রী হোস্টেলের সামনে বহিরাগতরা এসে প্রায়ই মাদকসেবন ও আড্ডা দেয়। বাধা দেওয়াতে তারা ক্ষুব্ধ ছিলো। এরই জের ধরে আকস্মিকভাবে হামলা করে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, আসাদ হলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে গতকালই তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, সরকারি এমএম কলেজে মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক ও বিচার দাবিতে  সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ হামলার জন্য কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদকে দায়ী করেন। এসময় তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদের নেতৃত্বেই সন্ত্রাসীরা আসাদ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, বেড, বই-খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ভেঙে তছনছ করে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থী অহিদুল ইসলাম রাব্বি, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও শেখ ইব্রাহিম হোসেন সাগর। এসময় তারা এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়ার জন্য কলেজ ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।