ঝিনাইদহে জাল সনদে আয়া পদে নিয়োগের অভিযোগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল-পন্নাতলা কেয়ামুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কে.পি.কে.বি.) এ জাল সনদে আয়া পদে নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিরা খাতুন নামের এক নারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক ও জেলা সমন্নিত দুদক কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কে.পি.কে.বি. বিদ্যালয়ে নাইট গার্ড, অফিস সহকারী, ঝাড়ুদার ও আয়া পদে ৪ জনকে নিয়োগের বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী রানী ডিজির প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান ও প্রধান শিক্ষক মাজেদুল হক উপস্থিত ছিলেন। এই নিয়োগ বোর্ড স্বপ্না হালদার নামের এক নারীকে আয়া পদে নিয়োগের সুপারিশ করেন। স্বপ্না হালদার মহারাজপুর ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া গ্রামের শ্যামল কির্তনীয়োর স্ত্রী। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, স্বপ্না হালদার আবেদন পত্রে কালীগঞ্জের বি.এইচ. এ.বি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণি পাশের সনদ দিয়েছেন। যাতে তার জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রয়ারি। এদিকে স্বপ্না হালদারের জাতীয় পরিচয় পত্র ( ৭৮০৬২৩১৫০৭) এ তার জন্ম তারিখ রয়েছে ১৯৯৭ সালের ১০ নভেম্বর। জাতীয় পরিচয় পত্রে উল্লেখ রয়েছে তিনি ৭ শ্রেণি পাশ। জাতীয় পরিচয় পত্রে বয়স অনুযায়ী তিনি ২০১৫ সালে ভোটার হয়েছেন। অর্থাৎ সেই সময় তিনি ৮ম শ্রেণি পাশ ছিলেন। কিন্তু আবেদন পত্রে প্রদান করা সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে তিনি ২০০৮ সালে ৮ম শ্রেণি পাশ করেছেন। এদিকে ৮ম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেটের সাথে মিল রেখে তিনি ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট জন্মনিবন্ধন করলেও জালিয়াতির ছাপ রয়ে গেছে জাতীয় পরিচয়পত্রে। প্রশ্ন উঠেছে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির সময় কি জন্ম নিবন্ধন বাদেই আবেদন করেছিলেন ? খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ২০২২ সালের ৫ আগস্ট কে.পি.কে.বি বিদ্যালয়ের ৪ পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্র্রকাশিত হয়। পরে আবেদন করার স্বার্থেই পূর্বের জন্ম নিবন্ধন বাতিল করে সার্টিফিকেটের সাথে মিল রেখে জন্ম নিবন্ধন করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজেদুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয় জাল সনদধারীকে কিভাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হলো? তিনি জানান, নিয়োগ কমিটি যাচাই করেই নিয়োগ দিয়েছে। তাছাড়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট হলে অনলাইনে যাচাই করার সুযোগ ছিল কিন্তু এই সার্টিফিকেট যাচাই করা সম্ভব যায়নি। বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, যদি স্বপ্না হালদারের সনদ জাল হয় তাহলে এমপিও পাবে না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, জাল সনদ বুঝতে পেরেও নিয়োগ কমিটি মোটা টাকার বিনিময়ে বিষয়টি গোপন করেছে।