শরণখোলায় স্ত্রীর ওপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ

0

 

 

শরণখোলা(বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইয়াসিন আকনের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে পরকীয়ার মিথ্যা স্বীকরোক্তি আদায় করা হয়েছে। এর পরে করা হয়েছে মধ্য যুগীয় শারীরিক নির্যাতন। পা থেকে মাথা পর্যন্ত স্ত্রী মিম আক্তারের (১৮) শরীরের কোথাও মারতে বাদ রাখেননি পাষ- স্বামী।
নির্যাতনের দুদিন পর সংবাদ পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মিমকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২০সেপ্টম্বর) দিবাগত রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে।
নির্যাতনের শিকার মিম আক্তার জানান, আমার স্বামী কার্গো জাহাজে (লাইটার জাহাজ) চাকরি করে। সে কারণে দুই-তিন মাস পর পর বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসেই ব্যাংকে আমার নামে বাবার জমা রাখা দুই লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে শারীরিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিন বুধবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে জাহাজ থেকে বাড়িতে আসে। ওই রাতে এসেই আমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার মিথ্যা অভিযোগ তোলে। এর পর আমাকে বিবস্ত্র করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। সেই ভিডিও নেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমার মুখ থেকে জোরপূর্বক পরকীয়ার স্বীকারোক্তি আদায় করে তা রেকর্ড করে।
মিমি বলেন, আমার স্বামীর সঙ্গে তার প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক আছে। সেই দোষ ঢাকতে উল্টো আমার নামে পরকীয়ার অভিযোগ করছে। আমার সমস্ত শরীরে প্রচ- যন্ত্রনা হচ্ছে। আমি এমন পাষ- স্বামীর সংসার করতে চাইনা। এই নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ববি সাহা বলেন, মিমের শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বাধাসহ মারাত্মক আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মিমের স্বামী মো. ইয়াসিন আকনের কাছে জানতে চাইলে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী অন্য এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়া করে। তবে আমার বিরুদ্ধে যৌতুক এবং ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, নারী নির্যাতনের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।