সাঁকো তো নয় যেন মরণ ফাঁদ!

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ যশোরের মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহনী এবং সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা কপোতাক্ষ নদের ওপর ব্রিজ না থাকায় বাঁশ ও কাঠের তৈরি সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে তিন উপজেলার ৩৫টি গ্রামের দেড় লাখের বেশি মানুষ। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও এ নদীর উপর কোন ব্রিজ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সড়কে চলাচলরত তিন উপজেলার ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ।
সেই সাথে বৃহত্তর নদীর ওপর ব্রিজ না থাকার কারণে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নসহ সব ধরণের উন্নয়নমূলক কাজ প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কৃষি নির্ভর এ তিন উপজেলা সাধারণ মানুষ ব্যবসা বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়নের দিক থেকে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন।
ত্রিমোহনী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী বাজার ও দেয়াড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার নামের গ্রামের সাথে সার্বিকভাবে জড়িয়ে রয়েছে বৃহত্তর মণিরামপুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া, ঝাঁপাসহ বেশকয়েকটি বড় বড় বাজার। এই সকল বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী এ তিন উপজেলার কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ ব্রিজের কারণে তাদের উদপাদিত পণ্য নিয়ে বাজারে যেতে দ্বিগুন খরচ করতে হয়।
স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক বিল্পব হোসেন ও প্রবীণ ভ্যানচালক আলীমুদ্দিন বলেন, আমরা সরকারের কাছে চাল, ডাল, তেল চাইনা। আমরা শুধু চাই আমাদের চলাচলের জন্য কপোতাক্ষ নদের ওপর একটি ব্রিজ। নড়বড়ে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে খুবই অসুবিধা হয়।
এ ব্যাপারে কথা হয় মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সাথে। তিনি জানান, কপোতাক্ষ নদের ওপর নির্মিত সাঁকোটি বেশ নড়বড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয় ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, জনপ্রতিনিধি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের। দ্রুত এ নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন এ জনপ্রতিনিধি।
কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ভাংঙ্গা এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। এখন সাঁকোটির বিভিন্ন অংশে বাঁশ নষ্ট হয়ে গেছে। মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে যেতে খুবই ভয় লাগে।