আদালতের রায় পক্ষে এনে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

0

 

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উচ্চ আদালতের রায় পক্ষে এনে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গোপীনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার তার বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। নাউলি গ্রামের আলম সরদারের ছেলে এসএম হায়দার আলী মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে অভয়নগর থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নাউলি গোপীনাথপুর মিলনী দাখিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ পরীক্ষা ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ পদে এসএম হায়দার আলীর জামাই মিন্টু বিশ্বাস অংশ নেন। নির্বাচনী পরীক্ষায় মিন্টু বিশ্বাস প্রথম স্থান অধিকার করেন। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে ২৯ আগস্ট মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে মিন্টু বিশ্বাসকে নিয়োগ পত্র দেন মাদ্রসার সুপার। ৩১ আগস্ট মিন্টু বিশ্বাস মাদ্রাসায় যোগদানও করেন। এর মধ্যে খালিদ জাহাঙ্গীর নামে ব্যক্তি ওই নিয়োগের বিপক্ষে যশোর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিনিয়র জেলা ও দয়রা জজ আদালতের শুনানি শেষে অভিযোগকারী খালিদ জাহাঙ্গীরের বিপক্ষে আদেশ দেন। এ আদেশের বিপক্ষে খালিদ জাহাঙ্গীর উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এরপর উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা ও রায় পক্ষে এনে দেওয়ার জন্যে মাদ্রসার সুপার আব্দুল রশিদ প্রলুব্ধ করেন মিন্টু বিশ্বাসকে। মাদ্রাসার সুপারের প্রস্তাবে রাজী হয়ে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা পরিচালনার খরচ বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন মিন্টু বিশ্বাসের শ্বশুর এসএম হায়দার আলী। এরপর কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও মাদ্রাসার সুপার মামলার অগ্রগতির ব্যাপারে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। এরই মধ্যে মিন্টু বিশ্বাস মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন, সুপার আব্দুর রশিদ উচ্চ আদালতে আপিলকারী খালিদ জাহাঙ্গীরের পক্ষেই কাজ করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে মিন্টু বিশ্বাসের শ্বশুর এসএম হায়দার আলী গত ২ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রশিদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চান। কিন্তু তিনি তালবাহনার এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।