বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনআশাল্লাহ

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ দুঃশাসনকে হটিয়ে শান্তি সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দৃপ্ত শপথে যশোরে বিএনপি ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে  বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জনতার সেই আন্দোনল থেকে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশ ও মানুষ বাঁচানোর এই আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে বুকের তাঁজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও ফ্যাসিবাদী শক্তিকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনআশাল্লাহ। আজ যখন বিএনপির নেতৃত্বে দেশব্যাপী সমগ্র জনগণ ঐক্যবদ্ধ। তখন এই কর্তৃত্ববাদী সরকার তার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে দলীয় সন্ত্রাসী এবং তাদের অনুুগত প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ দিন বদলের কথা বলে ক্ষমতায় এসে তাদের মনের বদল ঘটাতে পারেনি। যে কারণে তারা প্রতিনিয়ত দেশের ভিন্ন মতকে দমন পীড়নসহ হত্যার মিশনে ব্যস্ত রয়েছে।
অমিত বলেন, রাজনীতি মানে অবৈধ ক্ষমতার প্রদর্শন কিংবা নোংরা কথার ফুলঝুরি ছড়ানো নয়। রাজনীতি মানে ভিন্ন মতকে শ্রদ্ধা করা, নিজের ভোগ বিলাসিতাকে ত্যাগ করে জনগণের ভাগ্য বদলে নিজেকে নিয়োজিত করা। বিএনপি যতবার জনতার রায়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে ততবার দেশে ও জনগণের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আর বর্তমান নিশিরাতের সরকারের আমলে জনগণের অর্থ লোপাট হয়ে বিদেশে বাংলাদেশের অর্থে সম্পত্তির পাহাড় হচ্ছে। ভিন্ন মতকে দমনের লক্ষ্যে মোটরসাইকেল বাহিনী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীকে লালন পালন করছে।
তিনি বলেন, আজ যখন দেশব্যাপী বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে তখন  নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে  একটি তাঁজা প্রাণ ঝরে গেল। আজকে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনগণ বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে নেমে এসেছে । রাজপথে জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে অচিরেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার বক্তব্যের শুরুতে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানসহ দলের প্রয়াত সকল নেতাকর্মীকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের রহের মাগফিরাত কামনা করেন। এছাড়াও দলের সাবেক জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজিজুর রব খান, চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়ন, শামসুল-হুদাসহ যশোর অঞ্চলের প্রয়াত সকল নেতা কর্মীকে গভী শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্জনের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে। আজও সেই স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই সংগ্রামে নেমেছি। যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারবো ততদিন পর্যন্ত আমদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মারুফুল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, বিএনপির যশোর নগর শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, মণিরামপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন,অভয়নগর উপজেলা শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী গোলাম হায়দার ডাবলু, চৌগাছা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু, কেশবপুর পৌর শাখার সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, বাঘারপাড়া পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল হাই মনা, জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান, জেলা যুবদলের সাধরাণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।
পরে দলীয় প্রধান সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং দলের প্রয়াত সকল নেতাকর্মীর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।