যশোরে বিএনপির মানববন্ধনে গুম-হত্যার শিকার স্বজনদের হৃদয়স্পর্শী অনুভূতি

0

 

মাসুদ রানা বাবু ॥ ইউসুফ আলী হত্যার বিচার চেয়ে অঝোরে কাঁদলেন মা রাবেয়া বেগম। ২০১৪ সালে ইউসুফ আলী গুম হত্যার শিকার হন। তারপর আজও থামেনি ষাটোর্ধ্ব এই মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদ। মণিরামপুর পৌর সদরের এই বাসিন্দা সন্তানের মুখে মা ডাক শুনতে না পেলেও ঘাতকদের উপযুক্ত বিচার দেখে যেতে চান। রাবেয়া বেগমের মত যশোর সদর উপজেলার ডহেরপাড়া গ্রামের নিহত ইদ্রিস আলীর পুত্র উদয় ইসলাম তার পিতার ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তার মত যেন আর কোন সন্তান পিতার ¯েœহ থেকে বঞ্চিত না হয়।
মনিরামপুর উপজেলার মেজবাহ উদ্দিন চন্টু, আনিছুর রহমান, বজলুর রহমান, মতিয়ার রহমান, হাফিজুর রহমানের বাকরুদ্ধ স্বজনরা বিচার বহির্ভুত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের বিচারের প্রতীক্ষায়। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে গুম এবং বিচার বহির্ভুত হত্যা শিকার স্বজনরা তাদের এমন হৃদয়স্পর্শী অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসা বর্তমান সরকার তার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গুম খুনের পথ বেছে নিয়েছে। স্বজনহারা ব্যক্তিদের বুক ফাটা আর্তনাদে বাংলার বাতাস ভারি হয়ে উঠলেও সেটি সরকারের গা স্পর্শ করে না।
এভাবে গুম খুন করে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। আমরা সেই দিনের প্রতীক্ষায় যেদিন আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে, বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করবো ইনশাআল্লাহ। জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মারুফুল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা মহিলাদল নেত্রী সুফিয়া মাহমুদ রেখা, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, মণিরামপুরের বিচারবহির্ভুত হত্যার শিকার আনিছুর রহমানের ভাইয়ের স্ত্রী লিপি খাতুন প্রমুখ। পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গুম হত্যার শিকার স্বজনদের খোঁজ খবর নেন ।