কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ধর্মঘট ১২ ঘন্টা তেল উত্তোলন বন্ধ

0

 

 

খুলনা ব্যুরো ॥ জ্বালানি তেলের কমিশন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে ১২ ঘন্টার প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট পালন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. ফরহাদ হোসেন ।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল। জেলাগুলো হচ্ছে-খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ। তবে, এ সময় বেসরকারি পাম্পগুলো থেকে জ¦ালানি তেল বিক্রি অব্যাহত ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জ্বালানি পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারি সরোজ দাস পিন্টু।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে সোমবার ১২ ঘন্টার প্রতীকী ধর্মঘট পালিত হয়। তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-বর্তমান জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি, অয়েল ডিপো থেকে ৪০ কিলোমিটারের বাইেের ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধি এবং পেট্রোল পাম্পের ওপর আরোপিত বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স প্রথা বাতিল করা। দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে পরবর্তীতে সারাদেশব্যাপী এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।
এদিকে, বাংলাদেশ জ্বালানি পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস সেক্রেটারি সরোজ দাস পিন্টু বলেন, ধর্মঘট চলাকালীন বেসরকারি পাম্পগুলো থেকে জ¦ালানি তেল বিক্রি অব্যাহত ছিল। তিনি জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্র থেকে এ প্রতীকী ধর্মঘট ডাকা হয়। তবে তেল পরিবেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২ দশমিক ৭১ টাকা কমিশন দেয়া হয়। অতীতে কমিশন বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক বৃদ্ধি পেলেও তাদের কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রদানের দাবি জানান তারা। আরও জানানো হয়, দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে।
এর আগে একই দাবিতে গত ৭ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ২৪ ঘন্টার জন্য ধর্মঘট পালন করে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জ্বালানি তেল পাম্প মালিক সমিতি। তবে ৯ ঘন্টা ধর্মঘট পালনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করা হয়েছিলো সেই ধর্মঘট। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারো ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।