যশোরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে স্ত্রীর মামলা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে যৌতুক দাবির অভিযোগে মো. মামুন গাজী নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলা হয়েছে। ওই পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মোছা. মৌসুমি আক্তার মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন ইস্যুর আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. মামুন গাজী যশোর শহরের বাগমারা পুকুরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি খুলনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত। অপরদিকে মৌসুমি আক্তার সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ১ টাকা দেনমোহরে আসামি মামুন গাজীর সাথে মৌসুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসামি মামুন গাজী তার কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই এমন দাবি করে জমি কেনার জন্য শ্বশুর ফারুক হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা উপঢৌকন হিসেবে আদায় করেন। চলতি বছরের ১১ মার্চ আসামি মামুন গাজী স্ত্রী মৌসুমি আক্তারকে নিয়ে বাহাদুরপুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে তিনি এ সময় জমি কেনার জন্য স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মৌসুমি আক্তার যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামি মামুন গাজী তাকে জানিয়ে দেন, টাকা ছাড়া তিনি তার সাথে সংসার করবেন না। এমনকী মৌসুমি আক্তারকে তালাক দিয়ে পুনরায় বিয়ে করার হুমকি দেন মামুন গাজী এবং স্ত্রীকে পিত্রালয়ে রেখে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর গত ৮ মে মামুন গাজী ৫ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে স্ত্রীর ফেসবুকের মেসেঞ্জারে মেসেজ লিখে পাঠান। এ ঘটনায় মৌসুমি আক্তার ও তার পিতা ফারুক হোসেন খুলনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকারের কাছে অভিযোগ করেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসামি মামুন গাজীকে ডেকে এক মাসের মধ্যে খুলনায় বাসা নিয়ে স্ত্রীর সাথে সংসার করার নির্দেশ দেন। আসামি মামুন গাজী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রস্তাবে সম্মতি প্রকাশও করেন। এরপর মৌসুমি আক্তার ও তার পিতা ফারুক হোসেন যশোরে ফিরে আসেন। কিন্তু গত ৩০ মে দুপুর একটার দিকে যশোর শহরের দড়াটানা পুলিশ বক্সের স্ত্রী ও শ্বশুরের সাথে দেখা করে ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সেই সাথে তিনি তাদেরকে বলেন যে, যৌতুকের ৫ লাখ টাকা না পেলে স্ত্রীকে নিবেন না। দেনমোহর ও খোরপোষের টাকাও দিতে অস্বীকার করেন মামুন গাজী। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মৌসুমি আক্তার।