স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের মণিরামপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মহাসিন হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী সোমবার মামলাটি করেছেন। যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি মহাসিন হোসেন মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের আসাদ মোড়লের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটনে কর্মরত রয়েছেন।
মামলায় ওই নারী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষে তিনি মণিরামপুরে তার বোনের বাড়িতে বেরাতে যান। সেই সময় মহাসিন হোসেনের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর মহাসিন হোসেন বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করতেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মহাসিন হোসেন তাকে জানান, তিনি শিগগির পুলিশে যোগদান করবেন । যোগদানের পর প্রেমিকাকে বিয়ে করবেন। এমন আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন মহাসিন হোসেন সময় তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। এক পর্যায় মহাসিন পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পান। ছুটিতে বাড়িতে এসে গত ১৯ মার্চ প্রেমিকাকে বড় বোনের বাড়িতে আসতে বলেন। ওই নারী তার কথা মত নিজ বোনের বাড়িতে আসেন। পরে বোন ও ভগ্নিপতি বাড়ির বাইরে গেলে মহাসিন হোসেন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। কিছু সময় পর বোন বাড়িতে ফিরে এলে বিষয়টি জানাজনি হয়। এরপর মহাসিন হোসেন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে চলে যান। গত ১০ এপ্রিল ওই নারী মোবাইল ফোন করে মহাসিন হোসেনকে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু মহাসিন হোসেন তার সাথে অশোভন আচরণ করেন। ২৬ জুন মহাসিন হোসেন ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তাকে গুম ও হত্যার ভয় দেখানো হয়। এছাড়া ওই নারীর সাথে মহাসিন হোসেনের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করা আছে এবং তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়।