ঈদে নতুন কাপড় না পেয়ে যশোরে ৪ স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদে নতুন কাপড় কিনে না দেয়ায় যশোরে চার স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে হাবিবা খাতুন (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে কীটনাশক পান করে। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাবিবা বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের ট্রাক চালক হাদিউজ্জামানের কন্যা। সে রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা আমিরুন্নেছা জানিয়েছেন, আগে সব কাপড় কিনে দেয়া হয়েছে। এখন আরও কাপড় দিতে হবে। এর মধ্যে হাবিবা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। একইদিন দুপুরে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের কন্যা মৌ (১৫)। সে বাঘারপাড়া কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মৌকে ৩ মাস আগে বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা গ্রামের নান্নু নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছে। পিত্রালয়ে থেকে সে পড়ালেখা করে। স্বজনরা জানিয়েছেন, সামনে ঈদ উৎসব। নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে দেরি হওয়ায় অভিমান করে মৌ ঘুমের ওষুধ সেবন করেছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ নিমতলা এলাকার রুহুল আমিনের কন্যা মার্জিয়া আমিন (১৫) অনুরূপভাবে কীটনাশক পান করে। সে কালীগঞ্জ সলিমুননেছা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। নতুন জামাকাপড় কেনা নিয়ে তার বায়না থাকলেও পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর আগে গত বুধবার দুপুরে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বিথি খাতুন (১৪)। সে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা। জামা-কাপড় কিনে দিতে দেরি হওয়ায় বিথি খাতুন অভিমান করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ৪ ছাত্রীকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।