যশোর শিল্পকলা নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে জয় লাল সবুজ পরিষদ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শিল্পকলা একাডেমির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ৮ জনের পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছে লাল সবুজ পরিষদ। তবে একেবারে নিষ্কণ্টক হয়নি জয়টা, ঘাম ঝরাতে হয়েছে জয়ের জন্যে। এ জয়ের ফলে অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু আবারো সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হলেন। একই সাথে তিনি ৪র্থ বারের মতো এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী তিন বছরের জন্যে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনার দায়িত্ব পাবে এই প্যানেলটি।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলে। দুটি প্যানেলে ১৬ জন প্রার্থী এই ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ৯৭৫ ভোটারের মধ্যে ৮২৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বচন কমিশন সূত্রে এই ৮টি পদের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত ২ জন হলেন সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব (৪৮৬ ভোট) ও আহমেদ সাইদ বুলবুল(৪৪৪ ভোট), তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী রংধনুর মো. জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদ আসাদুজ্জামান উভয়েই পেয়েছেন ৩২২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু ৪৪০ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী রংধনু প্যানেলের রওশন আরা রাসু পেয়েছেন ৩৭৯ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে লাল সবুজের চঞ্চল কুমার সরকার ৪৩৪ ভোট ও অনুপম দাস ৪২৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মো.আনিসুজ্জামান পিন্টু পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট ও মো. নাসির উদ্দীন মিঠু ৩৫৭ ভোট। এছাড়া বিজয়ী সদস্য ৩ জন হলেন অ্যাড. বাসুদেব বিশ্বাস( ৪৯২ ভোট), ডা. মো. আতিকুজ্জামান রনি(৪৮৬ ভোট) ও শহিদুল হক বাদল(৪৩৯ ভোট)। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ গনি খান রিমন পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট, মো. ফয়সাল খান পেয়েছেন ২৯৭ ভোট ও প্রদীপ চক্রবর্তী রানা পেয়েছেন ২৭৪ ভোট।
ফলাফল শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় রংধনু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রওশন আরা রাসু বলেন, যারা পাস করেছে তাদেরকে অভিনন্দন, ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তারা খালি হাতে এই প্যানেলকে ফেরাননি। তিনি আরও বলেন, তাদের প্যানেলের সবাই আনন্দিত যে, তাদের কারণে আজ ভোট হয়েছে এবং তারা অনেক ভোট পেয়েছেন, ভোটারদেকে মাঠে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
লাল সবুজ পরিষদের সদ্য বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু তার প্রতিক্রিয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো। তিনি জানান, শিল্পকলা একাডেমিকে আরও গতিশীল করতে চান তারা। এ সময় তিনি ভোটার , শুভানুধ্যায়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
নিয়মানুসারে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক, কোষাধ্যক্ষ শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার। এছাড়া পরিচালনা পরিষদে আরও থাকবেন জেলা প্রশাসক মনোনীত একজন প্রতিনিধি ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ডিজি মনোনীত চারজন প্রতিনিধি। মোট ১৫ সদস্যের এই কমিটির আগামী দিনে জেলার শিল্পাঙ্গনে কতটা উন্নয়ন করতে পারে তাই দেখার বিষয় ভোটারদের কাছে।