‘বন্যার ভয়ংকর রূপ নিয়ে কোনো সংস্থা পূর্বাভাস দিতে পারেনি’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সিলেট-সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা সম্পর্কে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যা এত ভয়ংকর রূপ নেবে এটা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা পূর্বাভাস দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের নিকট খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং অন্যান্য জরুরি সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন মো. তাজুল ইসলাম।
এও বললেন, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করার সামর্থ্য সরকারের আছে।
রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে তৃতীয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও চট্রগ্রাম দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর। তাই এই দুই মহানগরীর সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্রগ্রাম ও ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের অধীন খালগুলো খনন, পুনঃখনন করা হয়েছে। অনেক খাল দখল হয়েছিল সেগুলো সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। যার সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেছে। আগের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে পাওয়া খালের পাশাপাশি দুই সিটি করপোরেশন অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করেছে। অনেক বড় বড় ভবন, মার্কেট, বাস-ট্রাক স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাড়ে ছয় একর এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রায় পঁচিশ একর জমি উদ্ধার করেছে। অবৈধ দখল অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড ও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে প্রকল্প পাশ করা হয়েছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। আমি আশা করি সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।
সভায় করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্রগ্রাম সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা দুই সিটি ও চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।