অপহরণ নয়, মণিরামপুরের যুবক প্রেমিকাকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন !

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মামলা করা হয়েছিলো চাঁদার টাকা না পেয়ে মাস্টার্স পড়ুয়া আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, প্রেমের টানে ১০ বছর বেশি বয়সের এক নারীর সাথে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন ওই যুবক ! গত সোমবার সকালে ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর দাসপাড়ার একটি বাসা থেকে কথিত অপহৃত ওই যুবককে উদ্ধারও করেছে তদন্ত সংস্থাটি।
আসাদুল ইসলাম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই মিজানুর রহমান জানান, দাবিকৃত ২ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আসাদুল ইসলামকে গত ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে এনায়েতপুর তিন রাস্তার মোড় হতে অপহরণের পর মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মর্মে আদালতে একটি মামলা করেন তার পিতা আব্দুল কাদের। প্রতিবেশী এক নারীসহ ৪ জনকে আসামি করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মামলাটি করেন। পরে আদালত অপহৃত আসাদুল ইসলামকে উদ্ধারের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এরপর নানা তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার সাভার থানার হেমায়েতপুর দাসপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম তার প্রতিবেশী শমসের আলী সরদারের মেয়ে জাহানারার সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাহানারার ইতোপূর্বে একবার বিয়ে হয়েছিলো। সেই ঘরে তার সন্তানও রয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাদের বিয়েতে রাজী হবেন না বুঝতে পেরে আসাদুল ইসলাম প্রেমিকা জাহানারাকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। প্রথমে তারা সাতক্ষীরায় যান এবং সেখানে তারা বিয়ে করেন। এরপর তারা ঢাকা সাভার এলাকায় গিয়ে ঘর ভাড়া করে বসবাস করতে থাকেন। তিনি বলেন, আসাদুল ইসলামের পিতা আব্দুল কাদের আদালতে যে মামলা করেছিলেন তাতে জাহানারার ছেলে ও ভাইকেও আসামি করা হয়। কিন্তু আসাদুল ইসলামকে উদ্ধারের পর জানা গেলো, চাঁদার দাবিতে কেউ তাকে অপহরণ করেনি। মূলত প্রেমের টানে তিনি প্রেমিকাকে সাথে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন এবং পরে দুজনে বিয়ে করেন।