যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল : মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে সমন্বয়হীন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে ওয়ার্ডের সমন্বয় না থাকায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
জানা গেছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মূল ভবনে রয়েছে ১০টি ওয়ার্ড। করোনারি কেয়ার ইউনিটে রয়েছে ৪টি ওয়ার্ড। ১৪টি ওয়ার্ডে মোট ২শ’ ৭৮টি বেড রয়েছে।
এ হিসেবে ২শ’ ৭৮টি রোগীর ধারণ ক্ষমতা থাকলেও রোগী থাকে দ্বিগুণ। কখনো দেড় গুণ। এ অবস্থায় হাসপাতালের পুরনো একতলা ভবনে অর্থো ও সার্জারি ওয়ার্ড করা হয়েছে। মূল হাসপাতাল ভবন থেকে অনুমান ১০ গজ দূরে এ ওয়ার্ডের অবস্থান। যেখান থেকে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার জন্যে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দুরূহ ব্যাপার। এ ওয়ার্ডে সব সময় গরম আবহাওয়া বিরাজ করে। নেই ভাল ফ্যান। প্রয়োজনীয় বেড। এর মধ্যে রোগীর ঠাসাঠাসি অবস্থা।
শনিবার ৩২ জন রোগী ছিল। যেখানে বেডের সংখ্যা মাত্র ১০টি। বেডের বিপরীতে তিনগুণের বেশি রোগী থাকায় সেখানকার পরিবেশ ছিল অসহনীয়। যখন কোন রোগী ছুরিকাহত কিংবা সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য ঘটনায় আহত হয়। তখন তাদের এ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। পরে সুযোগ বুঝে পাঠানো হয় দ্বিতীয় তলায় মডেল ওয়ার্ডে কিংবা ৪র্থ তলায় পুরুষ পেয়িং ওয়ার্ডে। সেখানকার দূরত্ব ২৫ থেকে ৩০ গজ। এসব ওয়ার্ডে রোগী টানা-হেঁচড়া করতে গিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওয়ার্ডের দূরত্ব কম হলে রোডগী স্বস্তিবোধ করেন। তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে কম। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে রোগীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। সব ওয়ার্ডের অবস্থান একই। কোথাও পাশাপাশি ওয়ার্ড নেই। ওয়ার্ডের অবস্থান এলোমেলো। এ কারণে কর্মকর্তাদের দক্ষতা নিয়ে সচেতন মহল ও ভুক্তভোগীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী থাকার পরিস্তিতি আরও এলোমেলো ও অগোছালো হয়ে পড়েছে। ওয়ার্ডের মেঝে ও করিডোরে থাকে প্রচুর সংখ্যক রোগী। যেখানে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নেই। আছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এ অবস্থার মধ্যে বড় বড় দুটি রুম রোগীর স্বার্থে ব্যবহার না করে মালামাল রাখা হয়েছে। এ সস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের তেমন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে, রোগীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালে ভর্তি হলেই লোকজন হাঁড়ে হাঁড়ে এ দুর্ভোগ অনুভব করেন।
এ ব্যাপারে আরএমও ডা. মো. আাব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের সংস্কার কাজ চলছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। কি করা যায় দেখা যাক।