মণিরামপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মণিরামপুরে শ্রেণিকক্ষে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ইয়াকুব আলী নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষককে এলাকাবাসী আটকের পর পিটুনি দিয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দিয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে। শিক্ষক ইয়াকুব আলী মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের উজির আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মনিরামপুরের দেলুয়াবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা থাকায় ২০১৬ সালে তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর তিনি নিয়মিত স্কুলে গেলেও তাকে দিয়ে কর্তৃপক্ষ মাঝেমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণিতে পাঠদান করাচ্ছিলেন।
অভিযোগ করা হয়েছে, গত সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি এবং তৃতীয় শ্রেণিতে পাঠদানের সময় সহকারি শিক্ষক ইয়াকুব হোসেনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে আটকের পর পিটুনি দেন। রাত নয়টার দিকে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। যৌন হয়রানির শিকার হওয়া এক ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এক প্রশ্নের জবাবে জানান, সাময়িক বরখাস্তের পর ম্যানেজিং কমিটির মৌখিক নির্দেশনায় ইয়াকুব আলীকে দিয়ে মাঝেমধ্যে দুই একটি ক্লাসে পাঠদান করানো হতো। তবে শিক্ষক ইয়াকুব আলী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এলাকার কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসিয়েছে।
মণিরামপুর থানা পুলিশের ওসি নূর-ই-আলম সিদ্দিকী মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে সোপর্দ করা হয়।